গরমে ঘরকে ঠান্ডা রাখার উপায় - এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা করুন
গরমে ঘরকে ঠান্ডা রাখার উপায় নিয়ে সকলে চিন্তিত রয়েছে। বর্তমানে দিন দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবার ফলে সকলের ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে ঘরে স্বস্তিতে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় বিভিন্নভাবে ঘরকে ঠান্ডা রাখা যায়। । বিভিন্ন মাধ্যমে মাধ্যমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা করুন। চলুন গরমে ঘরকে ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
গরমে ঘরকে ঠান্ডা রাখার উপায় হলো ভেজা ভেজা করে ঘর মুছলে, ঘরে ছোট ছোট গাছ রাখলে, ঘর অন্ধকার করে রাখলে, জানালায় ভারী সূচি পদ্মা ব্যবহার করে, টেবিল ফ্যানের সামনে বরফ রাখা। এসবের মাধ্যমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা করুন।
গরমে ঘরকে ঠান্ডা রাখার উপায়
বর্তমানে আমাদের দেশে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রী ছাড়িয়ে গেছে। দিন দিনে তাপমাত্রা বাড়তেই আছে। তীব্র তাপদাহ চলছে সারাদিন জুড়ে। কত জায়গায় বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়া হচ্ছে ও দোয়া করা হচ্ছে। আবার অন্যদিকে গ্রামের কিছু মানুষ কুসংস্কারে লিপ্ত হয়ে ব্যাঙের বিয়ে দিচ্ছে। অনেকের ধারণা ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হয়। এটি একটি ভুল ধারণা এবং কুসংস্কার। এই গরমের মধ্যে ঘরের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। ঘরের মধ্যে থাকা দিন দিন অসহনীয় হয়ে উঠছে। এইজন্য চলুন জেনে নিই, এই তীব্র গরমে ঘরকে ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে।
- ইনডোর প্লান্ট / ঘরে ছোট গাছ লাগানো: বর্তমানে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনেকে ঘরের বারান্দা বা রুমের কোন কোনায় ছোট ছোট গাছ লাগিয়ে থাকে। এগুলোকে ইনডোর প্ল্যান্ট বলা হয়। বেলকনি বা বারান্দায় যেখান থেকে রোদের আলো আছে অর্থাৎ পূর্ব ও পশ্চিম দিকের জানালা গুলোই এই সকল ইনডোর প্লান্ট লাগালে সূর্যের আলো সরাসরি ঘরে প্রবেশ করতে পারে না। জানালার চারপাশে এই সকল গাছপালা লাগানোর ফলে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এবং ঘর হবে ঠান্ডা। তাছাড়া আপনি চাইলে সবজি বা ফল জাতীয় কোন গাছ আপনার ঘরে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে করে ঘর ঠান্ডা থাকার পাশাপাশি আপনি প্রয়োজনীয় খাদ্য সবজি ও ফল উৎপাদন করতে পারেন। ঘরের সৌন্দর্য বর্ধন ও ঠান্ডা রাখার জন্য সাধারণত মানিপ্লান্ট, অ্যালোভেরা, চাইনিজ এভারগ্রীন সহ আরো বিভিন্ন ধরনের ফুল ফলের গাছ লাগানো যেতে পারে। এই সকল গাছ তাপ সুসে নিয়ে ঘরকে ঠান্ডা করে। এবং ঘরে গাছপালা রাখার ফলে ঘরে অক্সিজেন পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ হতে পারে। এজন্য সকলের উচিত ঘরে ছোট ছোট ইনডোর প্লান্ট লাগানো।
- জানালায় ভারী পর্দা ব্যবহার: জানালে দিয়ে ঘরে রোদের আলো প্রবেশ করার ফলে ঘরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই আলো ঘরে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখার জন্য জানালায় ভারী পর্দা ব্যবহার করা উচিত। জানালায় ভারী পর্দা ব্যবহার করলে এটি সূর্যের আলো সরাসরি ঘরে প্রবেশ থেকে বাধা দিবে এবং ঘরকে করবে ঠান্ডা। তবে দিনের বেলায় যখন রোদের তাপ বেশি হবে তখন এই পর্দা টেনে দিতে হবে এবং বিকেলে রোদের তাপ কমে গেলে পর্দা সরিয়ে দিতে হবে যাতে বাইরের বাতাস ঘরে ঢুকতে পারে।
- বরফের ব্যবহার: একটি টেবিল ফ্যানের সামনে কোন পাত্রে করে বরফের বড় টুকরা রেখে দিলে সেটি থেকে সম্পূর্ণ ঘরে ঠান্ডা বাতাস ছড়িয়ে যাবে। এটি ঘর ঠান্ডা রাখায় একটি সহজ উপায়। ফ্যানের সামনে বরফ রাখলে তা ধীরে ধীরে গলে যাবে, তখন ঠান্ডা পানি বাতাস শোষণ করার মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে বাতাসের আকারে ছড়িয়ে দিবে এবং ঘরকে করবে ঠান্ডা ও শীতল। তাছাড়া ঠান্ডা বা বরফ যুক্ত পানি দিয়ে ঘরের মেঝে ভেজা ভেজা করে মুছলে ঘরের তাপমাত্রা কমে যাবে।
- হালকা রঙের বস্তু ব্যবহার: ঘরের সকল আসবাবপত্র এবং জামাকাপড়ের রং যতই হালকা হবে ততোই ভালো। কারণ সাদা রংয়ের উপাদান তাপ শোষণ না করে সেটি প্রতিফলিত করে থাকে। এজন্য আমাদের উচিত সাদা রংয়ের চাদর বা বেডশীট ব্যবহার করা। এগুলো দেখতেও সুন্দর হয় এবং গরমে আরামদায়ক হিসেবে বিবেচিত।
- ঘরকে অন্ধকার রাখা: ঘরে সূর্যের তাপ যত বেশি প্রবেশ করবে, ঘরের তাপমাত্রা ততো বেশি বৃদ্ধি পাবে। এইজন্য দিনের বেলা ঘরের জানালা ও পর্দা লাগিয়ে রাখা উচিত। এবং রাতের বেলা কম আলো যুক্ত লাইট ব্যবহার করা উচিত। এনার্জি সেভিং বা এলইডি লাইট ব্যবহার করলে তা সুবিধা জনক হয়। আর যত সম্ভব ঘরের লাইট বন্ধ করে রাখা উচিত। এতে ঘরের গরম বা তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমে যাবে।
এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা করুন
ঘরকে বিভিন্নভাবে ঠান্ডা রাখা যায়। যারা উচ্চবিত্ত তারা এসি ব্যবহার করে ঘর ঠান্ডা রাখে। কিন্তু এই এসি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং খরচেও প্রচুর ব্যয়বহুল। তাছাড়া দীর্ঘ সময় এসি ব্যবহার করার ফলে এসি বিস্ফোরণ হওয়ার একটি সম্ভাবনা থাকে। আর একবার কারেন্ট চলে গেলে এসি চালানো সম্ভব না। আর এই গরমের সময় প্রচুর পরিমাণে লোডশেডিং এর সমস্যা হয়ে থাকে। তাছাড়া অনেকের পক্ষে এসি কেনা বা প্রতি মাসে মাসে এসির বিল দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণ খরচ হয়। এজন্য নিজের উপায় গুলো ব্যবহার করুন এবং এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা করুন।
- চুলা ও অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা: ঘরে চুলার বেশি ব্যবহারের ফলে ঘরের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়। এজন্য রান্না শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তাড়াতাড়ি করে চুলা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এতে অতিরিক্ত পরিমাণের বাড়তি গরমে সৃষ্টি হবে না। তাছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র যে সকল যন্ত্রঘরের তাপ বাড়ায় সেগুলো ব্যবহার হওয়া সাথে সাথেই বন্ধ করে রাখা উচিত। যেমন: ওয়াশিং মেশিন, ডিশ ওয়াশার, হেয়ার ড্রায়ার ইত্যাদ।
- সূর্যের তাপ থেকে রক্ষায় ছাউনি ব্যবহার: ঘর গরম হওয়ার সব থেকে বড় কারণ হলো সূর্যের তাপ। ঘরের চারপাশে গাছপালা লাগালে এবং ঘরের জানালায় ছাওনি ব্যবহার করলে প্রায় ৭০ শতাংশ সূর্যের তাপ কম প্রবেশ করে ঘরের ভেতর। এইজন্য জানালায় ছাউনি ও পাতলা পর্দা ব্যবহার করা উচিত।
- গরম বাতাস দূর করা: এক্সস্ট ফ্যান দ্বারা ঘরের গরম বাতাস দূর করা উচিত। এজন্য রাতের বেলা জানালা খোলার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালানো উচিত। এতে করে ঘরের অতিরিক্ত গরম বাতাসগুলো তাড়াতাড়ি বের হয়ে যাবে। এবং ঘরের তাপমাত্রা কমে যাবে।
- সিলিং ফ্যান ব্যবহার: এসিতে অনেক পরিমাণে খরচ হয় বলে এসির পরিবর্তে সিলিং ফ্যান ব্যবহার করা উচিত। সিলিং ফ্যানের ব্যবহারে বিদ্যুৎ অপচয় কম হওয়ার পাশাপাশি ঘরের তাপমাত্রা কমে যায়। এইজন্যে ঘর ঠান্ডা রাখতে সিলিং ফ্যান ব্যবহার করা উচিত।
- সময় মত জানালা খোলা ও বন্ধ করা: দিনের বেলায় যখন অতিরিক্ত পরিমাণে তাপমাত্রা ঘরে প্রবেশ করে তখন জানালার পর্দা লাগিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু যখন তাপমাত্রা ঘরের কমে যায় ধীরে ধীরে তখন ঘরে ফ্যান চালিয়ে দিয়ে জানালা দরজা খুলে দিলে গরম বাতাস গুলো বাইরে বের হয়ে যায় এবং ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায়।
- ঘরের দেওয়ালে হালকা রং ব্যবহার: যদি কোন বাসার দেওয়ালের রং অতিরিক্ত গাঢ় হয় তাহলে সেই দেওয়াল অতিরিক্ত পরিমাণে আলোর শোষণ করে এবং আলোর বেশি প্রতিফলিত হওয়ার কারণে ঘরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এজন্য আমাদের উচিত হালকা রং ব্যবহার করে ঘরে দেওয়াল রং করা। ফলশ্রুতিতে ঘরের দেওয়াল তাপ ধরে রাখবে না এবং আলো কমে গেলে ঘর ঠান্ডা হয়ে যাবে।
- ডাবল গ্লাসের জানালা স্থাপন: দুই স্তর বিশিষ্ট কাঁচের জানালা লাগালে সেটি ১৫ মিলি মিটার পর্যন্ত পুরু হয়ে থাকে। এবং এর মাঝের অংশে গ্যাস দিয়ে পূর্ণ করা থাকে । এবং তা চারিদিক দিয়ে সিল করা থাকে এজন্য এটি ভালো তাপ নিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি গ্রীষ্মকালে শীতকালে উভয় সময়ে কাজে লাগে। গরমের সময় বাইরে তাপমাত্রা থেকে ঘরকে রক্ষা করে এবং শীতের সময় বাইরের শীতল হাওয়া ঘরের প্রবেশ করতে বাধা দেয়। কিন্তু অনেক সময় কাচের জানালা দ্রুত তাপ শোষণ করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে এজন্য জানালায় হিট প্রটেক্টিং উইন্ডো লাগানো যেতে হিট প্রটেক্টিং উইন্ডো লাগানো লাগানো উচিত। এমন ধরনের জানালার ব্যবহারে পূর্বে তুলনায় ৫৫ থেকে ৬৫ শতাংশ তাপমাত্রা কমে যায়।
ছাদের গরম কমানোর সহজ উপায়
গরমের জন্য সবাই অস্বস্তিতে জীবন যাপন করছে। শহর গ্রাম সকল জায়গায় তাপমাত্রা ব্যাপক হারে দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকছে। অনেকে শহরে বড় বড় বিল্ডিং এ বসবাস করে। যারা সবার উপরে টপ ফ্লোরে থাকে তাদের ঘরে তুলনামূলক বেশি তাপমাত্রা থাকে। কারণ টপ ফ্লোর সবার উপরে থাকায় সূর্যের তাপ সেখানে সরাসরি পড়ে এজন্য টপ ফ্লোরের তাপমাত্রা বেশি হয়। টপ ফ্লোর এর উপর আর কোন ঘর থাকে না। এজন্য ছাদে সরাসরি রোধ করার কারণে টপ ফ্লোরের ঘরগুলো অনেক গরম হয়। যদি ছাদের গরম কমানো যায় তাহলে টপ ফ্লোরের রুমগুলোর তাপমাত্রাও কমে যাবে।
ছাদের গরম কমানোর জন্য সব থেকেও কার্যকরী একটি উপায় হল ছাদ বাগান তৈরি করা। অনেকে শখের বসে ছাদে বাগান তৈরি করে। এতে ছাদের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশের উপকার হয়। অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পায় এবং ছাদের নিচের ঘরগুলো শীতল অবস্থায় থাকে। ছাদে টবে করে বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট ফল, ফুল ও সবজির গাছ লাগানো যায়। তাছাড়া বর্তমানে অনেকে ছাদে ঘাস লাগাচ্ছে। এই সকল গাছপালা ও ঘাস লাগানোর কারণে ছাদে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে না। এবং ছাদের মেঝেকে এই গাছগুলো ছায়া প্রদান করে থাকে। ছাদে থাকা গাছপালা গুলো সূর্যের আলো ও তাপ শোষণ করে নেয় ফলে ছাদ খুব বেশি গরম হয় না। এভাবে ছাদে বাগান তৈরি করার ফলে আপনি বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি উৎপাদন করার পাশাপাশি টপ ফ্লোর ও ছাদকে ঠান্ডা রাখতে পারেন। তাছাড়া ছাদের মেঝেতে সিমেন্টের সেট বা সান প্রুফ নেট ব্যবহার করে ছাদকে শীতল রাখতে পারেন। তাছাড়া ছাদের মেঝেকে সাদা রং করলে তা তাপ নিরোধক হিসেবে কাজ করবে। তাছাড়া ছাদের তাপমাত্রা কমাতে সোলার প্যানেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
গরমের দিনে রান্নাঘরে কাজ করার টিপস ও ট্রিকস
বর্তমানে দিন দিন গরম বৃদ্ধি হওয়ার ফলে অনেক মহিলাদের রান্না করার ক্ষেত্রে অসুবিধার সৃষ্টি হয়। গরমের ফলে ঘেমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এজন্য কয়েকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করলে রান্নাঘরের তাপমাত্রা কে একটি নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে রাখা সম্ভব। আসুন এই সকল উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
- এই তীব্র গরমে বুদ্ধিমানের কাজ হল সঠিক সময় রান্না করা। সকাল সকাল রান্না করে নিলে তীব্র গরমে দুপুরের দিকে রান্নার ঝামেলা পোহাতে হবে না।
- অনেকে আছেন দিনে ২-৩ বার রান্না করে থাকেন। তারা যদি একবারেই সকল রান্না একসাথে করে নেন তাহলে বারবার গরমের মধ্যে রান্না করার সমস্যা সম্মুখীন হতে হবে না।
- যে সকল খাদ্য বা রেসিপি খুব কম সময়ের মধ্যে রান্না করা যায় এই সকল খাদ্য তৈরি করলে গরমের মধ্যে রান্না ঘরে কম সময়ের জন্য থাকা লাগবে।
- রান্না করার সময় পাতলা এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরলে অতিরিক্ত গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন।
- রান্না করার পূর্বে যে সকল পূর্বে যে সকল সবজি কাটাকাটি এবং মসলার প্রস্তুত সহ যে সকল আনুষাঙ্গিক কাজ করা লাগে সেগুলো ঘরের ভেতরে তৈরি করে রান্নাঘরে গিয়ে শুধু রান্না করে আসলে অনেকটা গরমের হাত থেকে বাঁচতে পারবেন।
- রান্নাঘরে এক্সস্ট ফ্যান ব্যবহার করলে রান্নাঘরের অতিরিক্ত গরম দূর হয়ে যাবে। এবং রান্না করার সময় ঘরে যাতে ধোঁয়া আটকে না থাকে এই জন্য জানালাগুলো খুলে রাখা উচিত।
- এই গরমে রান্নার সময় প্রচুর পরিমাণে ঘাম হয়। এজন্য স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে স্যালাইন এবং লেবুর রস লবণের সাথে মিশিয়ে খাওয়া উচিত।
- মাঝে মাঝে কাঁচা বা হালকা সেদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। অর্থাৎ কোন রকমের সালাত ফল বা সেদ্ধ ডিম এ সকল খাবার নাস্তায় খেলে রান্না ঘরে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা লাগবে না।
লেখক এর মন্তব্য
অতিরিক্ত গরম সকলের জন্য একটি বিরক্তিকর বিষয়। এবং এই অতিরিক্ত গরমের ফলে বিভিন্ন ধরনের অসুখ ও রোগের সৃষ্টি হয়। এজন্য আমাদেরকে এই গরমের সময় সচেতন থাকতে হবে এবং নিজের শরীরের যত্ন নিতে হবে। আজকে আমরা গরমে ঘরকে ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে জেনেছি আরো জেনেছি এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা করার উপায়। এই সকল উপায় আমরা আমাদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগিয়ে নিজেদের ঘরের তাপমাত্রা কমাতে পারে। আশা করছি পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। যদি কোথাও কোন ভুল থেকে থাকে তবে ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন। এই পোস্ট সম্পর্কে যেকোনো তথ্য জানতে চাইলে কমেন্ট সেকশনে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করুন। ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
মিডপয়েন্ট ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url