কম খরচে সাজেক যাওয়ার উপায় - সাজেক যাওয়ার উপযুক্ত সময়

আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় কম খরচে সাজেক যাওয়ার উপায়। বাংলাদেশে অবস্থিত রাঙ্গামাটি জেলার, বাঘাইছড়ি উপজেলার একটি পর্যটন কেন্দ্র হল সাজেক। এই সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটির জেলার উত্তর দিকে মিজোরাম নামক সীমান্তে অবস্থিত রয়েছে। এই স্থানটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। যে কোন সময় এই সাজেক গেলে আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। বিশেষ করে বর্ষাকাল বা শরত কালে গেলে আপনি খুব কাছ থেকে মেঘ অনুভব করতে পারবেন। এই সময়কেই সাজেক ভ্যালি যাওয়ার উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কম খরচে সাজেক যাওয়ার উপায়
সাজেক ভ্যালি খাগড়াছড়ি জেলার সদর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এবং দীঘিনালা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। নোপথে কাপ্তাই পার হয়ে এসে অনেকখানি হাঁটার পর সাজেকে যাওয়া যায়। রাঙ্গামাটি জেলায় সাজেক অবস্থিত হওয়ার পরেও যাতায়াত সুবিধা পাওয়া যায় খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক গেলে।

সাজেক ভ্যালির অবস্থান

সাজেক হল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একটি ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের আয়তন প্রায় ৭০২ বর্গমাইল। সাজেকে রয়েছে বিজিবি ক্যাম্প। এই সকল বিজিবি ক্যাম্প বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উঁচুতে অবস্থিত কেন। সাজেক রুইলুই পাড়া এবং কংলাক পাড়ার সমন্বয়ে গঠিত এলাকা। সাজেকে বিভিন্ন ধরনের আদিবাসীরা বসবাস করেন। সাজেকের বিখ্যাত ফল হল কলা ও কমলা। সাজেক থেকে রাঙ্গামাটির অধিকাংশ অংশ দেখা যায় বলে সাজেককে রাঙ্গামাটির ছাদ বলে অভিহিত করা হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাজকের উচ্চতা প্রায় ১৮০০ ফুট।
খাগড়াছড়ি শহর এবং দীঘিনালা হতে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি যেমন: সিএনজি, মোটরসাইকেল, জিপ গাড়িতে করে সাজেকে আসে পর্যটকরা। সাজেক যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ নং বাঘাইহাট পুলিশ ও আর্মি ক্যাম্প হতে তথ্য প্রদান করে সাজেক যাওয়ার অনুমতি পত্র নিতে হয়। ফলশ্রুতিতে আর্মি গন তাদেরকে নিরাপত্তা শহীদ সাজেক পৌঁছে দেওয়া হয়। সাজেকের জিপ গাড়ি গুলোকে স্থানীয়রা চান্দের গাড়ি বলে অভিহিত করে থাকে। সকলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দিনের দুইটি নির্দিষ্ট সময় ছাড়া অন্য কোন সময়ে আর্মি ক্যাম্পের পক্ষ হতে সাজেক যাওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয় না। সাজেক যাওয়ার রাস্তাতে বাঘাই হাটে হাজাছড়া ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

সাজেক ভ্যালি কেন যাবেন?

সাজেক ভ্যালি সর্বত্র জুড়ে মেঘ পাহাড় এবং দারুন সবুজ প্রকৃতি। সাজেকে রয়েছে তিনটি হেলিপ্যাড। এ সকল হেলিপ্যাড থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় অপরূপ দৃশ্য দেখা যায়। সাজেকের সবচেয়ে ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা হল এখানে একদিনে তিন ধরনের আবহাওয়া দেখা যায়। কখনো কখনো খুবই গরম পড়ে, তার কিছুক্ষণ পর আবার হঠাৎ বৃষ্টি হয়, আবার কিছুক্ষণ পর চারিদিক মেঘে ঢেকে যায়। সাজেককে মেঘের উপত্যকা বলা হয়ে থাকে। রুইলুই তারা থেকে ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে সাজেক থেকে কংলাক পাহাড় এ যাওয়া যায়। এই পাহাড়টি হচ্ছে সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া। সাজিকের মেঘলা আবহাওয়া, আদিবাসীদের জীবনযাত্রা এবং পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেকোনো পর্যটকের মন কেড়ে নেয়। এই সকল দৃশ্য উপভোগ করার জন্য আপনি সাজেক ভ্যালি ঘুরে আসতে পারেন।

সাজেক যাওয়ার উপযুক্ত সময় 

সাজেক এমন একটি ভ্রমণস্থল যেখানে আপনি বছরের যে কোন সময়ই গেলে আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। তবে শীতের সময় সাজেক একরকম এবং বর্ষাকালে সাজেক অন্যরকম। মে থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সাজেক যাওয়ার উপযুক্ত সময়। কারণ এই সময় সাজেক আরো বেশি সুন্দর লাগে। এই সময় সারাদিন মেঘ ভেসে থাকে সাজেকে। এমনকি মেঘ এসে আপনাকে ঢেকেও দিতে পারে।

কম খরচে সাজেক যাওয়ার উপায় 

সহজে সাজেক যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে খাগড়াছড়ি চলে আসতে হবে। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি বিভিন্ন ধরনের বাসে করে চলে আসতে পারবে। শ্যামলী, দেশ ট্রাভেলস, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শান্তি পরিবহন, ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেস সহ আরো বিভিন্ন ধরনের বাসে চলে আসতে পারেন খাগড়াছড়ি। এসি ছাড়া বাসের টিকিটের মূল্য সাধারণত ৭৫০ থেকে ৮৫০ এর মধ্যে হয়ে থাকে। আপনি যদি এসি বাসে যেতে চান তাহলে ১০০০ থেকে ১৬০০ পর্যন্ত ভাড়া লাগতে পারে। এ সকল বা সাধারণত রাত দশটার মধ্যে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। আপনি যদি শান্তি পরিবহনে করে যান তাহলে সরাসরি দীঘিনালা পৌঁছে দেবে ৭০০ টাকা ভাড়ায়। আপনি ঢাকার গাবতলী কলাবাগান সহ বিভিন্ন প্রান্তের যেসব বাস পরিবহনের কাউন্টার পেয়ে যাবেন।যদি আপনারা ১০-১২ জনসঙ্গে একসাথে আসেন তাহলে খাগড়াছড়ি শাপলা চত্বর থেকে জিপ গাড়ি রিজার্ভ নিয়ে দুই দিনের জন্য ঘুরে আসতে পারবেন। জিপ গাড়িতে দুই দিনের জন্য ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মত খরচ লাগবে। 
আপনারা লোকসংখ্যায় কম হন তাহলে ছোট কোন গাড়ি অথবা সিএনজি রিজার্ভ করে যেতে পারেন। এতে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার মত খরচ হবে। পাহাড়ি এলাকায় উঁচু-নিচু রাস্তা থাকার কারণে সিএনজি দিয়ে না যাতায়াত করাই ভালো। আপনারা যদি ২-৩ জন সাজেকে ঘুরতে যান তাহলে জীব সমিতির অফিসে কথা বললে তারা অন্য কোন গ্রুপের সাথে আপনার যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে। অথবা আপনি খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা গিয়ে সেখান থেকে সাজেক যেতে পারবেন। খাগড়াছড়ি থেকে দিঘীনালা মাত্র ২৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। খাগড়াছড়ি থেকে বাসে ৪৫ টাকা ভাড়া দিয়ে দীঘিনালায় চলে আসা যাবে। অথবা আপনি ১০০ টাকা ভাড়া দিয়ে‌ মোটর সাইকেলে করে যাতায়াত করতে পারেন। কিন্তু দীঘিনালা যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই সকালে গেলে ৯ঃ৩০ এবং দুপুরে গেলে ২:৩০ মিনিটে উপস্থিত হতে হবে। কারণ এই সময় সেনাবাহিনীর এসকোর্ট পাওয়া যায়। এই দুই সময় মিস করলে আপনাকে পরবর্তী সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগবে।

চট্টগ্রাম থেকে কম খরচে সাজেক যাওয়ার উপায় 

আপনি চাইলে চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি বা দিঘীনালা গিয়ে সেখান থেকে সাজেক যেতে পারেন। চট্টগ্রামের কদমতলীর বিআরটিসি বাস এসি বাস করে আপনি সাজেক যেতে পারেন। এই রুটে চারটি বাস চলাচল করে সারাদিনে। বাস ভাড়া সাধারণত ২০০ টাকা। তাছাড়া এক ঘন্টা পর পর অক্সিজেন মোড়ের কাছ থেকে শান্তি পরিবহন ১৯০ টাকা ভাড়ায় আপনাকে নিয়ে যাবে খাগড়াছড়ি। চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি যেতে বাসে সাধারণত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লাগে।

রাঙ্গামাটি থেকে কম খরচে সাজেক যাওয়ার উপায় 

রাঙ্গামাটি থেকে সড়কপথে বা নৌপথে যে কোন পথে খুব সহজেই বাঘাইছড়ি যাওয়া যায়। বাজার থেকে প্রতিদিন ৭:৩০ থেকে ১০:৩০ মধ্যে লঞ্চ ছেড়ে দেয়। এখান থেকে যেতে সময় লাগে ৫-৬ ঘন্টা। এখানে জন প্রতি ভাড়া সাধারণত ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা হয়ে থাকে। তাছাড়াও আপনি রাঙ্গামাটির বাস টার্মিনাল থেকে ৭:৩০ থেকে ৮:৩০ এর মধ্যে যেতে পারবেন। ছয় সাত ঘন্টা সময়ের ব্যবধানে আপনি পৌঁছে যাবেন বাঘাইছড়ি। বাঘাইছড়ি থেকে চাঁদের গাড়িতে সাজেক পৌঁছে যাবেন মাত্র ৩০০ টাকা জনপ্রতি হিসেবে।

সাজেকে থাকার জন্য রিসোর্ট ও কটেজ সমূহ 

সাজেকে থাকার জন্য অনেক রিসোর্ট ও কটেজ আছে। বিভিন্ন রিসোর্ট এর থাকার জন্য আপনাকে বিভিন্ন এমাউন্ট পে করা লাগবে। সাধারণত এক রাতের জন্য রুম নিলে ১৫০০ থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত ভাড়া লাগতে পারে। আপনি যদি সাজেকের ছুটির দিনে যেতে চান তাহলে ন্যূনতম একমাস আগেই বুকিং করে রাখা উচিত। আপনি যদি সাজেকে কম দামে কটেজে থাকতে চান তাহলে আদিবাসীদের কটেজ গুলোকে প্রাধান্য দিতে পারেন। সাজকের প্রায় সকল কটেজ থেকে বিভিন্ন সুন্দর ভিউ পাওয়া যায়। সাজেকের বিভিন্ন রিসোর্ট ও কটেজ সমূহ নিচে দেওয়া হল।
  • সাজেক ক্লাসিক রিসোর্ট:এখানে রয়েছে আপনার চাহিদা সৌন্দর্য বর্ধিত রুম। এবং চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের খাবারের ব্যবস্থা। সাজেক ক্লাসিক রিসোর্ট এই লিংকে ক্লিক করে তাদের পেইজে যোগাযোগ করতে পারেন। যোগাযোগ নাম্বার: ০১৫৫২৪০৩০৩০
  • সাজেক  রিসোর্ট:রিসোর্টটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত হয়। এই রিসোর্ট এর নন এসি রুম গুলোর ভাড়া সাধারণত ১০ থেকে ১৫ হাজারের মধ্যে। যারা সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকে অথবা উচ্চ পদের সরকারি চাকুরীজীবী তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ ডিসকাউন্ট। যোগাযোগ নাম্বার: ০১৮৫৯০২৫৬৯৪
  • মেঘ পুঞ্জি রিসোর্ট: সুন্দর ডেকোরেশন এবং আকর্ষণীয় ভিউয়ের জন্য আপনি যেতে পারেন মেঘ পুঞ্জি রিসোর্টে। এই রিসোর্টে রয়েছে চারটি কটেজ। প্রতিটি ঘটেছে সাধারণত সর্বোচ্চ চারজন থাকা যায়। এখানকার ভাড়া ৫০০০-৫৫০০ হাজারের মধ্যে থাকে। মেঘ পুঞ্জি রিসোর্ট এই লিংকে ক্লিক করে তাদের পেজে যোগাযোগ করতে পারবেন। যোগাযোগ নাম্বার:০১৮১৫৭৬১০৬৫।
  • রিসোর্ট রুংরাং: সবুজ প্রশান্তি আর মনের থাকার জন্য এই রিসোর্টটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই রিসোর্ট টি সাজেকের বেস্ট রিসেট গুলোর মধ্যে একটি। এখানে বসেই সারি সারি পাহাড় এবং মেঘ দেখা যায় সুন্দরভাবে। অনেক সুন্দর ইন্টেরিয়র ডিজাইনের সাজানো আছে এই রিসোর্ট। এই বিষয়টা আছে চারটি ডাবল এবং চারটি কাপড় রুম। এটা একচেটিয়াভাবে পাওয়া যায়, রিসোর্ট রুংরাং -  রয়েছে চোখ- এবং মন-শান্ত করা সবুজ ব্যালকনি!রিজার্ভেশন করতে যোগাযোগ করুন 01869649817.ভাড়া: (ছুটির দিনে)চার জনের পরিবারের 3500 টাকা মাত্র (২ বেড, ৪ জন)একটি দম্পতি: ৩০০০ টাকা মাত্র (1 বিছানা, 2 জন ব্যক্তি এবং 1 বাচ্চা)ভাড়া:( নিয়মিত দিন)চার জনের পরিবারের জন্য ৩০০০ টাকা মাত্র,এক দম্পতির জন্য ২৫০০ টাকা।রিসোর্ট রুংরাং এই লিংকে ক্লিক করে তাদের পেইজে যোগাযোগ করতে পারেন।
  • ম্যাডভেঞ্চার রিসোর্ট :সাজেকে সেরা হিল ভিউ রিসোর্টে অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য চলে আসুন ম্যাডভেঞ্চার রিসোর্ট।রিজার্ভেশন: +880 1885 424242।১ম তলা প্রিমিয়াম কাপল রুম এর ব্যবস্থা। সুবিধা ও সুবিধা:খুব শান্ত ও শিথিল পরিবেশ পাবেন।ইনফিনিটি হিল ভিউ পেয়ে যাবেন।বারান্দা সংযুক্ত সুবিধাসমূহ সহ বাথরুম সংযুক্ত থাকবে।আকর্ষণীয় কাঠ ও বাঁশের তৈরির রুমগুলো অনেক সুন্দর।২৪ ঘন্টা পানি সরবরাহ থাকবে।২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকবে।রুম সার্ভিস সকাল 6 টা থেকে 11 টা পর্যন্ত পাবেন।২ লিটার মিনারেল ওয়াটার থাকবে।চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য সেবা প্রদান করা হবে।চাহিদা অনুযায়ী গাড়ি সেবা পাবেন।খরচ: ৪০০০ টাকা।ম্যাডভেঞ্চার রিসোর্ট এই লিংকে ক্লিক করে তাদের পেইজে যোগাযোগ করতে পারেন।
  • মেঘ মাচাং :এটি একটি সাজেকের নতুন এবং নিরিবিলি রিসোর্ট।রিসোর্টটি  তাদের জন্য,যারা সাজেকে এসে কোলাহল মুক্ত পরিবেশে থাকতে চান।মেঘ মাচাং এই লিংকে ক্লিক করে তাদের পেইজে যোগাযোগ করতে পারেন।যোগাযোগ নাম্বার:01822-168877

সাজেকে কম খরচে  থাকার জন্য রিসোর্ট ও কটেজ সমূহ 

  • আলো রিসোর্ট একটি ভালো রিসোর্ট। কোনো রকম সুন্দর ভিউ নাই। রুম রয়েছে ৬টি। রুম ভাড়া প্রতিরাতের জন্য ৮০০-১৫০০ টাকা। যোগাযোগ করুন 01841-000645 নাম্বারে।
  • লুসাই কটেজ কাপল ডাবল সব রকম রুম আছে এই রিসোর্টে। রুম ভাড়া পড়বে ২০০০-২৫০০ টাকার মতো। যোগাযোগ করতে পারেন 01634-198005 নাম্বারে।
  • মেঘের ঘর রিসোর্টে ৮টি রুম রয়েছে । এখানে রুম ভাড়া ৬০০-১২০০ টাকার মধ্যে। রুম বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করুন 01842605788 নাম্বারে।
  • হাফং তং রিসোর্টে ৬টি রুম রয়েছে। রুম ভাড়া পড়বে। ১০০০-১৫০০ টাকার মধ্যে। বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করুন 01869-649817 ।
  • পাহাড়িকা রিসোর্ট কম বাজেটের মধ্যে এটি ভালো রিসোর্ট। এইখানে ১২টি রুম রয়েছে। রুম ভাড়া ১০০০-১৫০০ টাকা। বুকিং নাম্বার 01724-658766, 01871-771777। 
  • কম খরচে আদিবাসীদের ঘরে থাকতে পারেন। জনপ্রতি ৩০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। ফ্যামিলি নিয়ে থাকার জন্য ভালো চয়েস হবেনা কিন্তু বন্ধু বান্ধব মিলে থাকা যায়।

সাজেক যেয়ে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা

সাজেকের প্রায় প্রতিটি রিসোর্টেই খাবারের সুব্যবস্থা রয়েছে। আপনি যদি পূর্ব থেকেই বলে রাখেন তাহলে আপনার পছন্দমত খাবার রান্না করে দেওয়া হবে। জন প্রতি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। আর সাধারণ মেনু হিসেবে ভাত, আলু ভর্তা, মুরগির মাংস সচরাচর পেয়ে যাবেন। তাছাড়া আপনি যদি চান তাহলে আদিবাসীদের ঘরেও খেতে পারেন। এর জন্য আপনাকে পূর্ব থেকে তাদেরকে বলে দিতে হবে কি খাবেন? সেই অনুযায়ী তারা আপনাকে রান্না করে দিবে। সাজেকে খুব কম দামে পেঁপে আনারস কলা সহ বিভিন্ন ফল পাওয়া যায় এগুলো অবশ্যই টেস্ট করে দেখবেন।

সাজেক ভ্রমণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস 

  • সাজিকে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই এজন্য সাথে করে পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে যাওয়া উচিত। 
  • সাজেকে শুধুমাত্র রবি ও টেলিটকের নেটওয়ার্ক ভালো পাওয়া যায় এজন্য এই ধরনের সিম নিয়ে যাওয়া উচিত। 
  • সাজেক যেহেতু পাহাড়ি এলাকা, সেহেতু অনেক উঁচু-নিচু রাস্তা থাকে। খুব সতর্কতার সাথে এ সকল রাস্তায় চলাচল করা প্রয়োজন। 
  • আদিবাসীদের সাথে ছবি তোলার ক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে অনুমতি গ্রহণ করে নিবেন। 
  • আদিবাসী মানুষরা অত্যন্ত সহজ সরল হয় এজন্য তাদের সাথে ভদ্র ব্যবহার এবং সম্মান প্রদর্শন করবেন। 
  • ছুটির দিনে সাজেক যেতে চাইলে আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রাখবেন।
  • নিরাপত্তা বাহিনীদের কাছে নিরাপত্তার খাতিরে সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য দিয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করবেন। জাতীয় পরিচয় পত্র সব সময় নিজের কাছে রাখবেন। 
  • কয়েকদিনের জন্য গেলে গাড়ি কে রিজার্ভ না করে শুধু যাওয়ার জন্য গাড়ি ঠিক করুন। পরবর্তীতে আসার সময় ফোন করে গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারবেন। 
  • যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না।

লেখক এর মন্তব্য 

অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর হলো সাজেক। প্রতিটি মানুষেরই উচিত তাদের জীবনে কিছু কিছু ভ্রমণ স্থানে ঘুরে আসা। ভ্রমণ করতে গেলে সকল মানসিক দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায়। মন উৎফুল্ল থাকে। এজন্য মাঝে মাঝে ভ্রমণ করা উচিত। মাঝে মাঝে বন্ধু-বান্ধবের সাথে এবং মাঝে মাঝে পরিবারের সাথে ভ্রমণ করা উচিত। এতে করে সম্পর্কের মাঝে আরো দৃঢ়তা চলে আসে। ভ্রমণের আগে ভ্রমণের সকল তথ্য সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি। সকল তথ্য আগে থেকে জেনে রাখলে পরিকল্পনা করে যাওয়ার মাধ্যমে সঠিক সময়ে আপনি আরামে সব কিছু ঘুরে দেখতে পারবেন। 

যেকোনো স্থানের ভ্রমণ সংক্রান্ত কোনো কিছু জানতে চাইলে কমেন্ট সেকশনে আপনার মতামত দিন। আশা করি সাজেক সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনি পেয়ে গেছেন। যদি অতিরিক্ত কোন কিছু জানতে চান সাজেক সম্পর্কে, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে মেসেজ দিবেন। কোন ভুল ত্রুটি হয়ে গেলে ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার কনটেন্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিডপয়েন্ট ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url