ঘুম থেকে উঠার পর হঠাৎ পা ব্যথা করার কারণ ও সমাধান
ঘুম থেকে উঠার পর হঠাৎ পা ব্যথা করার সমস্যার অনেকেই সম্মুখীন হয়ে থাকে। বিছানা
থেকে পা নামাতেই তীব্র ব্যথা পায়ের গোড়ালিতে অনুভূত হয়। ঘুম থেকে উঠে পায়ের
গোড়ালিতে এই ব্যথা হওয়াকে প্লান্টার ফ্যাসাইটিস বলা হয়ে থাকে। মাঝেমধ্যে
কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে এই ব্যথা ঠিক হয়ে যায়। আবার অনেক সময় এই ব্যথা
ঠিক হতে বেশ কিছু সময় লেগে যায়। সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের, অতিরিক্ত ওজন এর
ব্যক্তিদের এবং যারা পায়ে চাপ পড়ে এমন কোন ধরনের কাজ করে তাদের এই সমস্যা অধিক
পরিমাণে হয়ে থাকে। এই ব্যথা দূর করতে পা হালকা গরম পানিতে রাখা যেতে পারে অথবা
বরফ দিয়ে আইসপ্যাক করে পায়ের উপর প্রয়োগ করা যেতে পারে। অতিরিক্ত পায়ের
ব্যথার সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত চলাফেরা এবং পায়ের ব্যায়াম করা, সাঁতার কাটা ও
সাইকেলিং করার মাধ্যমে পায়ের ব্যথা জনিত বিভিন্ন সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া
যেতে পারে। তাছাড়া সঠিক মাপে নরম জুতা পরিধান করা উচিত। এবং বিভিন্ন ধরনের সুষম
খাদ্য ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত।
ঘুম থেকে উঠার পর হঠাৎ পা ব্যথা করার কারণ
পায়ের ব্যথাকে অনেকের সাধারণ মনে করলেও এটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক একটি ব্যথা। যে
ব্যক্তি পায়ে ব্যথার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে সে ব্যতীত অন্য কেউ এই ব্যথার কষ্ট
অনুভব করতে পারবে না। প্রচন্ড পরিমানে অসহনীয় ব্যথা হয়। অনেক সময় অতিরিক্ত পা
ব্যথার ফলে রাতের ঘুম নষ্ট হয়ে যায়। সারারাত পা ব্যথা করে, পা ব্যথার কারণে ঘুম
আসেনা। এই পা ব্যথা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকতে পারে। ঘুম থেকে উঠার পর হঠাৎ পা
ব্যথা করার কারণ নিচে আলোচনা করা হলো।
- ঋতু পরিবর্তনের কারণে: গ্রীষ্মকালে সাধারণত ভিটামিন ডি এর মাত্রা বেশি থাকার কারণে স্নায়ুর বৃদ্ধি ও ক্ষয় পূরণ অধিক পরিমাণে সক্রিয় হয়ে যায়, এবং ভিটামিন ডি সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছানোর কারণে এই প্রক্রিয়াটি দ্রুত হয় ফলে পায়ে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া শীতকাল পায়ের কোন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হলে সেই স্থানে ব্যথার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এই জন্য গ্রীষ্ম ও শীতকালে পায়ের ব্যথা অধিক পরিমাণে অনুভূত হয়ে থাকে।
- পানি শূন্যতার কারণে: রাতে পা ব্যথার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে পানি শূন্যতা। রক্তে পানির অভাবে ইলেকট্রোলাইটের তারতম্যের সৃষ্টি হয় যার, ফলশ্রুতিতে পায়ের ব্যথা অনুভব হয়। এইজন্য রাতে পা ব্যথা হলে অধিক পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
- বার্ধক্য জনিত কারণ: অনেক সময় বয়স বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এবং বয়স বাড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন শরীরের স্নায়ু গুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এবং এটি থেকে বয়স্ক অবস্থায় পায়ে ব্যথা দেখা দেয়।
- পুষ্টির অভাবের কারণে: অসাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের অভাবে পায়ে দুর্বলতা দেখা দেয় এবং পা ব্যথা সৃষ্টি হয়। এজন্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য নিয়মিতভাবে গ্রহণ করা উচিত।
- প্রচন্ড ব্যায়াম: অনেকে যারা জিম করে তারা leg day এর দিন অতিরিক্ত পরিমাণে ওয়ার্কআউট করে থাকে। অধিক পরিমাণে ওয়েট তোলার কারণে অনেক সময় পায়ে অতিরিক্ত পরিমাণে চাপ পড়ে থাকে। এবং কোন একটি নির্দিষ্ট পেশির ওপর অতিরিক্ত পরিমাণ চাপ পড়লে সেখানে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। এজন্য অতিরিক্ত পরিমাণের পায়ের ব্যায়াম করার ফলেও পা ব্যথা হতে পারে।
- দাঁড়িয়ে থাকার কারণে: অনেক সময় বিভিন্ন কারণে দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে পা ব্যথা সৃষ্টি হয়। এটি একটি সাধারণ বিষয়। অতিরিক্ত পরিমাণ সময় দাঁড়িয়ে থাকলে পায়ের নিচের অংশে তরল ও রক্ত জমাট বাঁধে এবং শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয় ফলে পা ব্যথা বৃদ্ধি পায়।
- স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে: বাতের রোগ, ডাইবেটিসের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ এবং হতাশা থেকেও পা ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের গবেষণা থেকে জানতে পারা যায় যে এই সকল ধরনের সার্থগত জটিলতা স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফলে পায়ে ব্যথার সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- গর্ভাবস্থা: অনেক সময় গর্ভবতী মহিলাদের রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা দেখা দেয় এবং ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তাদের পায়ে অনেক সময় ব্যাথা হয়ে থাকে। তাছাড়া গর্ভে থাকা বাড়ন্ত শিশুর কারণে গর্ভবতী মহিলার যে ধরনের চাপ পড়ে তার ফলে স্নায়ু প্রভাবিত হয় এবং এ থেকে পায়ের সমস্যা ও ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।
পায়ের বিভিন্ন স্থানের ব্যথার উপসর্গ
কোন ব্যক্তি যখন পায়ের ওপর বেশি চাপ প্রয়োগ করে অর্থাৎ পা দ্বারা সম্পূর্ণ হয়
এমন কোন কাজে জড়িত থাকে তাহলে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগের ফলে তার পা আঘাতপ্রাপ্ত
হয়। তাছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে ওজন বেড়ে যাওয়ার জন্য অথবা অধিক হাটাহাটি বা
দৌড়াদৌড়ি করার জন্য পায়ে ব্যথা হয়ে থাকে। পায়ের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন
কারণে ব্যথা হয়ে থাকে।পায়ের ব্যথার লক্ষণ ও উপসর্গ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত
জানা প্রয়োজন।
আরো পড়ুন:
শারীরিক দুর্বলতা দূর করার উপায়।
গোড়ালিতে ব্যথা হওয়াকে সাধারণত প্লান্টার ফ্যাসাইটিস বলা হয়ে থাকে।
সাধারণত গোড়ালি বৃদ্ধি এবং লীগমেন্ট এর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ার ফলে পায়ের
গোড়ালিতে ব্যথার সৃষ্টি হয়। অনেক সময় ক্যালসিয়াম জমে গিয়ে হাড় বড় হয়ে
যায় যার ফলে অতিরিক্ত লিগমেন্টে টান পড়ে এবং গোড়ালির ব্যথা বৃদ্ধি পায়। এমন
হলে সাধারণত গোড়ালি ও পায়ের পাতার মাঝখানে ব্যথা হয়ে থাকে। এই সমস্যার শিকার
হলে সাধারণত ঘুম থেকে উঠার পর হঠাৎ পায়ের ধাপ ফেলতে অসহনীয় ব্যথা হয়। কিছুক্ষণ
হাঁটাহাঁটির পর এই ব্যথা কমে যেতে পারে। অনেক সময় ব্যায়াম্বা অতিরিক্ত
হাঁটাহাঁটি করার ফলে ব্যথা কমার পরিবর্তে অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।
পায়ের মধ্যে পাতার অংশে ব্যথা হয়ে থাকে এই ব্যথাকে মেটাটারসালজিয়া বলা
হয়। এর ফলে পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের ঘাটের কাছে প্রচুর ব্যথার অনুভূত হয়ে থাকে।
অনেকের ডায়াবেটিস থেকে এই ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এটির ফলে এক পা বা দুই
পায়ে যারা অনুভব এবং আঙ্গুলের দিকে প্রচন্ড ব্যাথার অনুভূতি হয়ে থাকে। পায়ের
নিচের অংশে পাথর থাকার মত অনুভূতির সৃষ্টি হয়। পায়ে গুলি লাগার মত ব্যথা এবং
শিরশির ব্যথা অনুভব হতে পারে। দাঁড়িয়ে থাকলে বা হাটাহাটি করার ফলে এই ব্যথা
অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়ে যায়।
পা ব্যথা দূর করার উপায়
ঘুম থেকে উঠার পর হঠাৎ পা ব্যথা করলে সেটি দূর করার জন্য অর্থাৎ পায়ের ব্যথা
সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। আসুন আমরা এই সকল পদক্ষেপ
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
- পা ব্যথা সমস্যার সমাধান হলো, পা ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবন করা। কারণ এই সকল ঔষধ সেবনের ফলে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর হয়ে যায়।
- যে সকল ঔষধ পা ব্যথা, পায়ের রগের ব্যাথা এবং গোড়ালি ব্যথার প্রদাহ কমায় , সেগুলো ওষধ সেবন করা উচিত।
- পায়ের বিকৃত আকৃতি ঠিক করার জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি এবং অস্ত্র প্রচারের সাহায্য নেওয়া উচিত।
- পায়ের যে অংশে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা করে সেই জায়গায় গরম পানির শেক দিলে ব্যথা অনেক অংশে কমে যায় এবং সেই স্থানের রক্ত সঞ্চালন দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে যায়।
- পা ফোলার ব্যথার সমাধানের জন্য বরফের প্যাক প্রয়োগ করা উচিত । বড় বা ঠান্ডা পানির বোতল ব্যথাযুক্ত ফোলা স্থানে কিছুক্ষণ ধরে রাখলে ব্যথা অনেকাংশে কমে যেতে পারে।
- যেহেতু শরীরের প্রায় সম্পূর্ণ চাপায়ের উপর পড়ে এজন্য শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
- নরম এবং আরামদায়ক স্বাচ্ছন্দ্যময় জুতো বা স্যান্ডেল পরিধান করা উচিত।
- বিভিন্ন শক্ত জমিতে বা স্থানে খালি পায়ে হাটা উচিত নয়।
- পায়ের পিসি গুলোর টানের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্টিচিং এর ও পায়ের ব্যায়াম করার ফলে পেশির নমনীয়তা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে পা ব্যথার সমাধান পাওয়া যায়।
- পায়ের নখ নিয়মিত কাটা ও পরিষ্কার করা উচিত যাতে সেখানে কোন ধরনের ময়লা জমে ইনফেকশন হয়ে পা ব্যথা না হয়।
- অতিরিক্ত পরিমাণে পায়ে ব্যথা হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী।
- সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। যাতে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দেহে গড়ে ওঠে।
- অনেক সময় ভিটামিনের ঘাটতির কারণে পায়ের ব্যথা অনুভব হয় । এজন্য ভিটামিন বি যুক্ত খাবার এবং ভিটামিন ডি যুক্ত ভিটামিন বি যুক্ত খাবার অতীত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কমলা ও আরো বিভিন্ন ফলমূল প্রতিনিয়ত গ্রহণ করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং পায়ের ব্যথা দূর করনে সাহায্য করবে।
পায়ের ব্যথা দূর করার ৫ টি ঘরোয়া পদ্ধতি
- হাফ কাপ বেকিং সোডা এবং গরম পানি নিয়ে ভালোভাবে মিশ্রিত করে সেই পানিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য পাহাড় ডুবিয়ে রাখতে হবে। প্রতিদিন অন্তত দুইবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে পায়ের ব্যথা অনেকাংশে কমে যাবে।
- হাতে সামান্য পরিমাণ নারিকেল তেল নিয়ে পায়ের ব্যথা যুক্ত স্থানে হালকা করে মাসাজ করতে থাকতে হবে। নারিকেল তেল পায়ে প্রয়োগ করার পর কিছুক্ষণ পা বাঁচতে ধীরে টিপে মোজা পড়ে নিতে হবে। প্রতিনিয়ত ঘুমানোর পূর্বে এমনটি করলে পায়ের ব্যথা হ্রাস পাবে।
- এক কাপ ইপসাম সল্ট এবং গরম পানি সুন্দর ভাবে মিশ্রণ করার পর সেখানে আধা ঘন্টার জন্য পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। কিছুদিন নিয়মিত এই পদ্ধতির ব্যবহার করার ফলে পায়ের ব্যথার সমাধান পাওয়া যাবে। ইপসম লবনে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট বিদ্যমান থাকার কারণে এটি প্রদাহবিরোধী এবং ব্যথা দূর করণে ব্যাপকভাবে কার্যকরী বলে বিবেচিত।
- এক ইঞ্চি পরিমাণ আদা ও মধু গরম পানিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মত ফুটিয়ে নিতে হবে। পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে আসলে সেই পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার এই পানিও পান করার ফলে পায়ের ব্যথা দূর হতে সাহায্য করবে। জিংগি বেইন নামক একটি এনজাইম আদতে বিদ্যমান রয়েছে যা প্রদাহ বিরোধী। এবং এর কারণে পায়ের ব্যথা দূর করার ক্ষেত্রে আদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- পায়ের যেই স্থানে ব্যথা করবে সেই স্থানে গরম পানির সেক অথবা আইস ব্যাগের প্রয়োগ করা যেতে পারে। এতে করে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে এবং পায়ের ব্যথা দূর হবে।
লেখক এর মন্তব্য
অনেকে আছেন যারা পায়ের ব্যাথা সমস্যা নিয়ে অনেকদিন যাবত ভোগান্তির শিকার
হচ্ছেন। আশা করি তারা আমার পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। আর প্রয়োজনের
অতিরিক্ত পায়ে ব্যথা করলে যত দ্রুত সম্ভব অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
অত্যন্ত জরুরি। ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এই
পোস্টটি সম্পর্কে যে কোন তথ্য জানতে চাইলে আমাদের কমেন্ট সেকশনে আপনার
গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিন।
মিডপয়েন্ট ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url