ইন্টারভিউ দেওয়ার সঠিক নিয়ম ও টিপস - ইন্টারভিউয়ের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানুন
ইন্টারভিউ দেওয়া যেকোনো ব্যক্তির জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এজন্য কিভাবে
ইন্টারভিউ দিতে হবে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। ইন্টারভিউ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু
ফরমালিটি ও নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। আপনি যে বিষয় নিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গঠন
করতে চান সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এবং ইন্টারভিউ সঠিকভাবে
উপস্থাপনা করার ধরন এবং সঠিক পোশাক পরিধান এবং মার্জিত ব্যবহার আবশ্যক। ইন্টারভিউ
দেওয়ার সঠিক নিয়ম ও টিপস জেনে নিন এই পোস্টটিতে।
যে কোন ইন্টারভিউতে আপনি আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী যে কোন বিষয় উপস্থাপন করতে
পারেন। একটি ইন্টারভিউ এর ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জীবন
বৃত্তান্ত। কারন সেখানে আপনার সকল যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বর্ণনা করা থাকে।
ইন্টারভিউ দ্বারা কি বুঝানো হয়?
ইন্টারভিউ একটি ইংলিশ শব্দ যার বাংলা অর্থ হচ্ছে সাক্ষাৎকার। ইন্টারভিউ এর
ক্ষেত্রে একজন আবেদনকারী চাকরি পাওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়োগ কর্তার নিকট নিজের
যোগ্যতার ও অভিজ্ঞতার প্রমাণ ও পরীক্ষা দেয়। নিয়োগকর্তা কর্তৃক আবেদনকারীকে
চাকরি সম্পর্কিত ও সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাস করা হয়। এতে করে
নিয়োগ কর্তা আবেদনকারীর সম্পর্কে ভালো ধারণা ও সঠিক তথ্য পাই। নিয়োগকর্তার
সন্তুষ্টি অনুযায়ী সঠিক উত্তর প্রদান করলে আবেদনকারী সেই চাকরির যোগ্য বলে গণ্য
করা হয়। ইন্টারভিউ এর ক্ষেত্রে চাকরি সংক্রান্ত, নিজের পার্সোনাল জীবন সম্পর্কে
,মেডিকেল কন্ডিশন সম্পর্কে এবং আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর করা হয়।
ইন্টারভিউ বিভিন্ন মাধ্যমে হতে পারে। সাধারণত মোবাইলের মাধ্যমে অথবা অনলাইনে
কিংবা সরাসরি উপস্থিত হয়েও ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলে। ইন্টারভিউ এর
মাধ্যমে নিয়োগ কর্তা কর্মীর চরিত্র, ব্যক্তিত্ব এবং সাধারণ জ্ঞানের পরীক্ষা নিতে
পারে। একজন আবেদনকারী কোন চাকরির যোগ্য কিনা তা জাতের জন্য ইন্টারভিউ নেওয়া
আবশ্যক। কারণ ইন্টারভিউ দাঁড়াই বুঝা যায় যে কোন আবেদনকারী সেই চাকরির দায়িত্ব
পালনে সামর্থ্যবান আছে কিনা। একজন আবেদনকারীর পর্যাপ্ত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে
এবং সে যদি কোম্পানির কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন করতে পারে তাহলে সে চাকুরীর জন্য
উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়। সঠিকভাবে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য ইন্টারভিউ দেওয়ার
সঠিক নিয়ম ও টিপস সম্পর্কে জানার জরুরী।
ইন্টারভিউ এর প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত?
বর্তমানের প্রতিযোগিতামূলক চাকরিতে টিকে থাকার প্রধান হাতিয়ার হল ইন্টারভিউয়ের
ভালো ফলাফল করা। ইন্টারভিউয়ে ভালো ফলাফল করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট বিষয়
সম্পর্কে জানা উচিত। ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ
করা উচিত। ইন্টারভিউ দেওয়ার সঠিক নিয়ম ও টিপস জেনে নেওয়া উচিত। ইন্টারভিউ এর
পূর্ব প্রস্তুতির জন্য যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানা উচিত তা নিচে আলোচনা করা হলো।
- প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানা উচিত: চাকুরীর জন্য আবেদনকারী যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিবে সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া উচিত। যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চান সেই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থা, বাজার মূল্য, পণ্য ও সেবা চাহিদা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সংখ্যা, সম্ভাব্য মাসিক আয় এবং কোম্পানির ধরন সম্পর্কে ইন্টারভিউ দেওয়ার পূর্বে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে সেই সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। এই সকল তথ্য আপনি অনলাইন প্লাটফর্ম, প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা পত্র পত্রিকার মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারেন। যেই প্রতিষ্ঠানে আবেদন করবেন সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানা থাকলে ইন্টারভিউ চলাকালীন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারবেন।
- ইন্টারভিউ যিনি নিবেন তার সম্পর্কে জানা উচিত: কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে বা পূর্বে যারা ইন্টারভিউ দিয়েছেন তাদের কাছ থেকে ইন্টারভিউ গ্রহণকারী সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। যদি ইন্টারভিউ গ্রহণকারী অনেক কঠোর স্বভাবের হয় তাহলে তার সামনে সঠিকভাবে উপস্থাপনা ও মার্জিত ব্যবহার করে চলায় উচিত হবে। তাছাড়া ইন্টারভিউ গ্রহণকারী ব্যক্তির পছন্দ অপছন্দ, ব্যক্তিগত জীবন ও ইতিহাস সম্পর্কে জানা উচিত। তার সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি অনুধাবন করতে পারবেন যে তিনি কোন ধরনের প্রশ্ন করতে পারেন। তাছাড়া তিনি যেগুলো অপছন্দ করেন সেগুলো এড়িয়ে তার পছন্দ অনুযায়ী ইন্টারভিউ দেওয়া উচিত। ইন্টারভিউ গ্রহণকারীর সাথে সবসময় ভালো ব্যবহার করা উচিত। ইন্টারভিউ গ্রহণকারীর সম্মুখে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি অবস্থায় সঠিক পোশাক পরিধান করে উপস্থাপনা করা উচিত।
- বিগত ইন্টারভিউয়ে আসা প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা নেওয়া উচিত: অনেক সময় ইন্টারভিউ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। পূর্ব থেকে এই সকল প্রশ্নের উত্তর মাথায় নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে গেলে ইন্টারভিউ চলাকালীন সেই প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে ভাবতে সময় নষ্ট হয় না। অনেক ইন্টারভিউ গ্রহণকারী সাধারণত আপনার পছন্দ-অপছন্দ শখ সম্পর্কে জানতে চাইবেন। এ সকল বিষয়ের উত্তর আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার পূর্বেই মাথায় তৈরি করে নিয়ে যেতে হবে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠান চাকরি বা কাজে ধরনের উপর যে সকল সম্ভাব্য প্রশ্ন করতে পারেন এবং বিগত ইন্টারভিউয়ে যে সকল প্রশ্ন করা হয়েছে, সেগুলোর তালিকা তৈরি করে পর্যাপ্ত প্রিপারেশন নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে যাওয়া উচিত।
- ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার পূর্বে প্র্যাকটিস করা: ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার পূর্বে বাসায়, আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সামনে একটি নমুনা ইন্টারভিউ দিয়ে নিজের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে পারেন। তাছাড়া আপনি চাইলে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ইন্টারভিউ এর বিষয়বস্তু উপস্থাপনা জন্য অনুশীলন করতে পারেন। যে সকল সম্ভাব্য প্রশ্ন ইন্টারভিউ এ আসতে পারে সে সকল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে অনুশীলন করতে পারেন।
- চাকরির পদ অনুযায়ী নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা যাচায়: বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পদে চাকরি আবেদনের ক্ষেত্রে সেই পথ সম্পর্কে সকল বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া উচিত। কোন পদে আবেদন করলে কি কাজ করা লাগবে এবং কি সম্পর্কে জানা লাগবে তা আগে থেকে জেনে থাকলে সুবিধা হয়। পদ সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনি নিজেই অনুধাবন করতে পারবেন যে সেই পদের জন্য আপনি যোগ্য কিনা। নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুসারে চাকুরীর পদ নির্বাচন করা উচিত। যে বিষয়ে কাজ করার জন্য আপনার যোগ্যতা বা দক্ষতা নেই সে সকল বিষয়ে ইন্টারভিউ না দিয়ে যে সকল বিষয়ে আপনি পছন্দ করবেন সেই সকল জায়গায় ইন্টারভিউ দেওয়া উচিত।
- যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিবেন সেই প্রতিষ্ঠান যাচাই: যেকোনো প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার পূর্বে সেই প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া উচিত। তাদের পণ্য বা সেবার চাহিদা কেমন বাজারে সে সম্পর্কে ধারণা থাকলে তাদের আনুমানিক আয় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। প্রয়োজন মনে হলে প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সার্ভিস নিজে ব্যবহার করে দেখতে হবে। যদি প্রতিষ্ঠানের উপর সন্তুষ্টি অর্জন হয় তাহলে সেখানে ইন্টারভিউ দিতে হবে।
- নিজের যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে যত্নবান থাকুন: অনেক সময় ইন্টারভিউ এ আপনার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট পর্যবেক্ষণ করা লাগতে পারে। এইজন্য ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার পূর্বেই আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষ করে লিংকডইন প্রোফাইল সঠিক ও সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা উচিত। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর পোশাক পরিধান করে ইন্টারভিউ দিতে যাওয়া উচিত। মার্জিত ব্যবহার এবং হাস্যোজ্জ্বল চেহারা নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে দেওয়া উচিত। কোন প্রকার টেনশন করা উচিত নয়। ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, সার্টিফিকেট, ছবি এবং জীবন বৃত্তান্ত সাথে করে নিয়ে যাওয়া উচিত।
- বর্তমানের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখুন: বর্তমান যুগ আধুনিক প্রযুক্তির যুগ। এই যুগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত থাকা উচিত। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ও বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার বা টেকনোলজি সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা রাখা উচিত।
- সঠিক পোশাক পরিধান করা উচিত: ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক এবং পরিষ্কার পোশাক পড়ে যাওয়া উচিত। যেকোনো ধরনের অমার্জিত পোশাক পরিধান করার ফলে ইন্টারভিউয়ের বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে গারো কোন রং এর কাপড় বা জামা পরিধান না করে হালকা রঙের পোশাক পরিধান করা উচিত হবে। একজন ব্যক্তির পোশাক তার ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করে।
- ইন্টারভিউ এর সময় স্ট্রেস ফ্রি হয়ে হাসিখুশি মনে থাকুন: অতিরিক্ত টেনশন বা মানসিক চিন্তার কারণে ইন্টারভিউ সঠিকভাবে দিতে সমস্যা হতে পারে। এইজন্য সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সাথে ইন্টারভিউ দেওয়া উচিত। অতিরিক্ত কোন কথা বলা বা অযুক্তিগত প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সময় সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য সঠিক সময়ে উপস্থিত থাকা লাগবে।
ইন্টারভিউ দেওয়ার সঠিক নিয়ম ও টিপস
ইন্টারভিউ দিতে যাবার পূর্বে থেকে সকল পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করে নেওয়া
উচিত। ইন্টারভিউর কল আসার পর আপনি উত্তেজিত না হয়ে সঠিকভাবে তাদের সাথে
যোগাযোগ করবেন। ইন্টারভিউয়ের সময় ও ঠিকানা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে সেগুলো
কোন কাগজে বা মোবাইলের ওয়ান নোটে লিখে রাখতে পারেন। ঠিকানা বা সময় মনে রাখতে
অসুবিধা হলে তাদেরকে মেসেজের মাধ্যমে এ সকল বিষয় সম্পর্কে তথ্য পাঠানোর অনুরোধ
জানাতে পারেন। এরপর সকল কাগজপত্র নিয়ে সঠিক সময়ে ইন্টারভিউ দিতে যাওয়া উচিত।
ইন্টারভিউ দেওয়ার ক্ষেত্রে যাবতীয় বিষয়গুলো সঠিকভাবে উপস্থাপন করা অত্যন্ত
জরুরী।
ইন্টারভিউ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের ব্যক্তিত্ব পরিদর্শন করা দরকার পড়ে। এজন্য
সঠিকভাবে চুল কেটে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জামা পড়ে ইন্টারভিউ দিতে যাবেন। ছেলেরা
চাইলে সুট টাই ও মেয়েরা সালোয়ার, কামিজ বা শাড়ি পড়তে পারেন। তবে খেয়াল
রাখবেন যে, জিন্সের প্যান্ট পরিধান করে ইন্টারভিউ দিতে যাবেন না। আর মেয়েদের
ক্ষেত্রে কোন রকমের অশোভন পোশাক বা অত্যধিক পরিমাণে অলংকার বা সাজসজ্জা করে
যাবেন না। সঠিক সময়ের মতো ইন্টারভিউ দিতে পৌঁছাবেন। ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার
পূর্ব থেকে আপনি নিজের সম্পর্কে বলার একটি পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন। আপনি
তাদের প্রতিষ্ঠানে কাজের যোগ্য এটি আপনার কথার দ্বারা প্রমাণিত করে দিবেন।
তাদের সামনে নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা
করবেন।
ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় জীবন বৃত্তান্ত তে আপনার সকল যোগ্যতা ও দক্ষতা গুলো
তুলে ধরবেন। তাছাড়া কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন ধরনের এক্সট্রা কারিকুলার
ও ক্লাব অ্যাক্টিভিটিজ এর সাথে যুক্ত থাকলে অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যায়। আপনি
যদি কোন বিতর্ক প্রতিযোগ, কোন রকমের খেলাধুলা, কোন রকমের কাজের ওয়ার্ক সব বা
সেমিনারে অংশগ্রহণ করে থাকলে সেগুলো আপনার জীবন বৃত্তান্তে উল্লেখ করবেন। এই
সকল বিষয় উল্লেখ করা থাকলে নিয়োগ কর্তার আপনার ওপর একটি পজিটিভ ইম্প্রেশন
পড়বে। স্মার্টলী মনোযোগ সহকারে সকল প্রশ্ন শুনে সঠিকভাবে সেই প্রশ্নগুলো উত্তর
দিবেন।
লেখক এর মন্তব্য
ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় সকল ধরনের সতর্কতা বজায় রেখে ইন্টারভিউ দেওয়া উচিত।
অতিরিক্ত টেনশন ও চিন্তা না করে হাসিখুশি মনে স্বাভাবিক ও সহজ রূপে ইন্টারভিউ
দেওয়া উচিত। একটি ইন্টারভিউ সফল হলে বেকারত্ব দূর হয়ে যায়। আশা করি, ইন্টারভিউ
দেওয়ার সঠিক নিয়ম ও টিপস এবং ইন্টারভিউ এর প্রস্তুতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য
পেয়েছেন। এই পোস্ট সম্পর্কে যে কোন তথ্য জানতে চাইলে কমেন্ট সেকশনে আপনার মতবাদ
জানান। ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
মিডপয়েন্ট ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url