মানসিক রোগের লক্ষণসমূহ - মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়

মানসিক রোগ বর্তমানে একটি ব্যাপক বড় সমস্যা। এই মানসিক রোগ থেকে অন্যান্য আরো বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হতে পারে। মানসিক রোগের কারণে সাধারণত কোন ব্যক্তির স্বাভাবিক আচরণ আবেগ ও কাজকর্মে অস্বাভাবিকতার প্রকাশ পাই। মানসিক রোগের লক্ষণসমূহ হলো অতিরিক্ত উত্তেজনা মন খারাপ ঝগড়া সঠিক ঘুম না হওয়া এবং আরো বিভিন্ন নেতিবাচক চিন্তা। মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় হল হাসিখুশি ও সুস্থ জীবন যাপন, পর্যাপ্ত ঘুম, সঠিক সুষম গ্রহণ করা প্রয়োজন। অতিরিক্ত মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।
মানসিক রোগের লক্ষণসমূহ - মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়
মানসিক রোগের ফলে মন খারাপ থাকে, আত্মবিশ্বাস কমে যায়, সঠিকভাবে ঘুম হয় না, মনের মধ্যে বিরক্তিকর ভাব কাজ করে। শারীরিক অস্থিরতা ও ক্লান্তি অনুভূত হয়। মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে কাউন্সিলিং, ঔষধ ও বিভিন্ন থেরাপি প্রয়োগ করা যেতে পারে।

মানসিক রোগ বলতে কি বুঝানো হয়?

সাধারণ কথাই এবং সহজ ভাষায় মানসিক রোগ বলতে বোঝানো হয় যে কোন ব্যক্তির অস্বাভাবিক আচার-আচরণ। একজন ব্যক্তি যখন তীব্র মানসিক যন্ত্রণা ও অসস্থির এর মধ্যে তার জীবন অতিবাহিত করে তখন বিভিন্ন কারণে তার মস্তিষ্কের সমস্যার সৃষ্টি হয়, যা তার মাঝে অস্বাভাবিকতার সৃষ্টি করে। এমন পরিস্থিতিকে সাধারণত মানুষিক রোগ বলা হয়। এই মানসিক রোগের ফলে রোগীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। সময় মত মানসিক রোগের চিকিৎসা না করা গেলে পরবর্তীতে তা বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য মানসিক রোগ এর লক্ষণসমূহ দেখা দিলে, অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি।

মানসিক রোগের লক্ষণসমূহ 

বিভিন্ন ধরনের অস্বাভাবিক আচার-আচরণের প্রকাশ থেকে চিহ্নিত করা যায়। এই মানসিক রোগের ফলে সাধারণ ব্যক্তির জীবন যাপনে ও কাজকর্মে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। মানসিক রোগের লক্ষণসমূহ নিচে আলোচনা করা হলো ‌।
  • মানসিক রোগের ফলে কোন ব্যক্তি হঠাৎ করেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
  • মানসিক রোগের ফলে অনেক সময় রোগী অন্যদের কাছ থেকে নিজেকে আলাদা করে দূরে সরিয়ে রাখে।
  • সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে মন খারাপ থাকার কারণে মানসিক রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
  • অনেক সময় কারো সাথে কথা বলতে না চাওয়ার প্রবণতা দেখে বুঝা যায় যে তার মানসিক রোগের সমস্যা আছে।
  • সবার সাথে ছোটখাটো কোন বিষয়ে ঝগড়া করা মানসিক রোগীর লক্ষণ।
  • মানসিক রোগী সবসময় নেতিবাচক চিন্তা করে থাকে এবং সকল সমস্যা ও অসুবিধার জন্য নিজেকে দায়ী ভাবে।
  • বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ শুনতে পাই মানুষের রোগী যার বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই।
  • নিজের শরীরের প্রতি যত্ন না নেওয়া এবং অপরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জীবনযাত্রা থেকে এবং সমাজের কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে থাকলে মানসিক রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
  • যখন মানুষের পছন্দের কাজগুলোতেও অপছন্দ তা অনুভূত হয় তখন বুঝা যায় যে এটি একটি মানসিক রোগের লক্ষণ।
  • অনেক সময় মানসিক রোগের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে এবং নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের অভাবে আত্মহত্যার মতো চিন্তা মাথায় চলে আসে।
  • মানসিক রোগ হলে অনেক সময় ঘুমের ঘাটতি দেখা যায় অর্থাৎ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না।
  • নিজের অফিসের বা বাসার যে কোন কাজ কর্মের প্রতি অনাগ্রহ ও অনীহার সৃষ্টি হতে পারে মানসিক রোগের কারণে।
  • অনেক সময় মানসিক রোগের ফলে খাবারের অরুচি হয় অথবা বিপরীতভাবে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করে থাকে।
  • মানসিক রোগী হীনমন্যতায় ভোগে এবং ঘরের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ রাখার চেষ্টা করে থাকে।
  • অনেক সময় মানসিক রোগী বিভিন্ন কারণে হঠাৎ আক্রমণাত্মক আচরণ করেন এবং বিভিন্ন জিনিস ভাঙচুর অথবা অন্যদের গায়ে হাত তুলতে পারেন।
  • মানসিক রোগী অনেক সময় অযুক্তিশীল ও অবাস্তব কথা বলেন যার সাথে বাস্তবতার সাধারণত কোন মিল থাকেনা।
  • বিভিন্ন সময় বংশগত কারণেও মানসিক রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে।

মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় 

আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের মানুষ বসবাস করে। কিছু মানুষ আছে যারা অনেক ভাবে মানসিক চাপ সহ্য করতে পারে। আবার অপরদিকে এমন কিছু মানুষ আছে যারা সামান্য কোন কথাতে ভেঙে পড়ে। যাদের সহন ক্ষমতা বেশি তারা অত্যধিক পরিমাণে মানসিক চাপ সহ্য করতে পারে। কিন্তু যাদের মানসিক চাপের সমান ক্ষমতা কম তারা বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এইভাবে মানসিক ভারসাম্য হারানোর ফলে তাকে মানসিক রোগের মোকাবেলা করতে হয়। মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। আসুন, এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
  • মানসিক রোগ হলে সর্বপ্রথম করণীয় হলো অভিজ্ঞ কোন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করা।
  • বিভিন্ন মানসিক দুঃখ কষ্ট ও বেদনা ভুলে থাকতে নিজের কর্ম ক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকা।
  • নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে সঠিক পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।
  • নিয়মিত সঠিক সময়ে ঘুমানো এবং সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠা উচিত। পর্যাপ্ত ঘুম হলে মানসিক সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়।
  • বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জড়িত থাকার মাধ্যমে মানসিক সমস্যা দূর হতে পারে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম, পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে মানসিক সমস্যা দূর করা সম্ভব।
  • মানসিক রোগ থেকে মুক্তির জন্য সমাজ ও আশপাশের বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং নিয়মিত মেলামেশা ও কথাবার্তা বলা উচিত।
  • বিভিন্ন ধরনের ধূমপান ও মাদক দ্রব্য সেবন থেকে নিজেকে বিরত রাখা উচিত।
  • বিভিন্ন ধরনের কষ্ট ও দুঃখের কোন নাটক বা ছবি দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • মনকে সব সময় হাসিখুশি ও উৎফুল্ল রাখার চেষ্টা করতে হবে।
  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মানসিক রোগ দূর করার ঔষধ সেবন করতে হবে।
  • মানসিক সমস্যা দূর করার একটি অন্যতম উপায় হল কাউন্সিলিং। কাউন্সেলিং এর ফলে অনেক সময় মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থেরাপি গ্রহণের মাধ্যমে মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

মানসিক রোগীর কোন খাদ্য খাওয়া উচিত?

একটি সঠিক খাদ্যাভ্যাস মানুষের জীবনকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দিতে পারে। অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহনের ফলে যেমন স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ক্ষতি হয় তেমনি মানসিক ভারসাম্য ঠিক থাকে না। মানুষ যখন স্বাস্থ্যকর, পুষ্টি সমৃদ্ধ ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করে তখন তার মস্তিষ্ক বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত থাকে। এজন্য দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় সঠিক খাবার রাখা অত্যন্ত জরুরী। বিভিন্ন ধরনের খাদ্য আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে এই ধরনের খাদ্য খাওয়ার ফলে মানসিক রোগ অনেকাংশে দূর করা সম্ভব। মানসিক রোগের উচিত নিজের খাদ্যাভাসের উপর পর্যাপ্ত গুরুত্ব দেওয়া।
বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি, মাছ মাংস, বাদাম, ফল ও শস্যজাতীয় খাবার সমূহ গ্রহণ করার ফলে মানসিক বিষণ্যতা অনেকাংশে কমে যায়। অনেক সময় অস্বাস্থ্যকর ও চর্বিযুক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে শরীরের ওজন বেড়ে যায়। এবং এই ভারতীয় জনের জন্য অনেক সময় মানসিক রোগের সৃষ্টি হয়। এজন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং মানসিক চাপ দূর করার জন্য পর্যাপ্ত ও পরিমিত সঠিক খাদ্য গ্রহণ করা জরুরী। যত মানুষ সুস্থ থাকবে তার মানসিক রোগের সমস্যা তত দূর করা সম্ভব।

মানসিক রোগীর খাদ্য তালিকা

খাদ্যের ধরন খাদ্য উপাদান কেন খাওয়া উচিত
জিঙ্ক মিষ্টিকুমড়ার বিচি, মাশরুম, দই, মাছ, গরুর মাংস, ডিম,তিল, চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, পালংশাক রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মাছের তেল,চিয়াসিড, তিসির তেল,আখরোট,সবুজ পাতার সবজি চিন্তাকে উন্নত করতে সাহায্য করে,মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহের মাত্রা ঠিক রাখে
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন, কাঠবাদাম, গ্রিন টি, ভিটামিন সি, ই,লাল আটা,বাদাম ক্লান্তি দূর করে, প্রাণোচ্ছলতা বজায় রাখে,স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
বি১২ দুধ, ডিম, পনির, কম চর্বিযুক্ত দই অবসাদ, ক্লান্তি, বিরক্তি, মানসিক চাপ, হতাশা দূর হয়
ভিটামিন সি আমলকী, জাম্বুরা, মাল্টা, জাম, আঙুর, পেঁপে, লেবু, কাঁচা মরিচ, বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করে,মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারের চলাচলে ভূমিকা রাখে,সেরোটিনিন তৈরি করে আমাদের মেজাজ, অনুভূতি, আবেগ ও ব্যথা বেদনা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

মানসিক রোগের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা

বর্তমানে বাংলাদেশে মানসিক রোগীর চিকিৎসার জন্য অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছে। এখন বাংলাদেশে উন্নত মানের চিকিৎসা পদ্ধতি ও উন্নত মানের চিকিৎসা যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি অতি সহজেই নিরাময় করা সম্ভব হচ্ছে। মানসিক রোগের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আছে যারা নিয়মিত হাসপাতালে রোগী দেখেন। এই সকল ডাক্তার মানসিক রোগের চিকিৎসা অতি দক্ষতার সাথে করে থাকেন। নিচে ঢাকা ও সিলেট জেলার বিশেষজ্ঞ কিছু মানসিক রোগীর ডাক্তারের নাম ও ঠিকানা দেওয়া হলো।

নাম ঠিকানা
অধ্যাপক ডাঃ মোঃ খসরু পারভেজ চৌধুরী জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।
অধ্যাপক ডাঃ এস আব্দুল আল ফারুক জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।
অধ্যাপক ডাঃ মোঃ তাজুল ইসলাম জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা।
সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জোবায়েদ মিয়া মানসিক হাসপাতাল, পাবনা।
সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ খাইরুল ইসলাম তাইরুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর।
সহকারী অধ্যাপক ডাঃ নাসরীন আক্তার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা।
সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ চিরঞ্জীব বিশ্বাস উত্তরা ওমেন্স মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
কর্নেল ডাঃ এ এইচ এম কাজি মোস্তাফা কামাল মার্কস মেডিকেল কলেজ ও হসপিটাল, ঢাকা।
ডাঃ এ কে এম খলিকুজ্জামান জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা।
ডাঃ মোঃ ইভরাম সাইফি ইউনিভার্সেল মেডিকেল কিলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।।
ডাঃ মোঃ তৈয়বুর রহমান জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।
অধ্যাপক ডাঃ গোপী কান্ত রায় ন্যাশনাল ডায়গনষ্টিক সেন্টার, ৩৩ অর্ণব মিরের ময়দান পয়েন্ট পুলিশ লাইন, সিলেট।
ডাঃ আহমদ রিয়াদ চৌধুরী মাউন্ট এডোরা হসপিটাল, আখালিয়া, সিলেট।
ডাঃ এম. শামসুল হক চৌধুরী ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিমিটেড, সোবহানীঘাট পয়েন্ট, সিলেট।
অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শফিকুর রহমান ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিমিটেড, সোবহানীঘাট পয়েন্ট, সিলেট।

মানসিক চাপ কমানোর সঠিক উপায়

বর্তমানে প্রায় প্রতিটি মানুষের জীবনে কিছু না কিছু মানসিক চাপ থাকে। সকলে চায় তার মানসিক চাপ কমিয়ে সামনের দিকে জীবনকে এগিয়ে নেওয়া। বিভিন্নভাবে মানসিক চাপ কমানো যায়। অনেকে বিশ্বাস করে না, কিন্তু চুইংগাম চাবানোর ফলে মানসিক চাপ অনেকটা কমে যায়। কারণ এটি চাবানোর সময় মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। এবং মনোযোগ অন্যদিকে ধাবিত হওয়ার কারণে মানসিক চাপ অনেকটা কমে যায়। তাছাড়া অনেক সময় মনে অস্থিরতা বিরাজমান করলে বাইরে ঘুরতে যাওয়া উচিত। বাইরে ঘুরতে গেলে অথবা বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দিলে মনের কষ্টগুলো দূর হয়ে যায়।
যত সম্ভব সব সময় হাসিখুশি অবস্থায় থাকা উচিত। নিজের পছন্দের গান শুনলেও অনেক সময় মানসিক চাপ কমে যায়। মানসিক চাপ কমার জন্য নিয়মিত শরীর চর্চা অর্থাৎ ব্যায়াম করা উচিত। অতিরিক্ত মানসিক চাপ সৃষ্টি হলে ঘরে এসে ঘরের লাইট বন্ধ করে অন্ধকার রুমে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেওয়া উচিত। মানসিক চাপ কমানোর একটি সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো নিজ নিজ ধর্মের কাজে মনোনিবেশ করা। টাইম পাস এর জন্য বিভিন্ন খেলাধুলা করা অথবা কোথাও ভ্রমণে বের হয়ে যাওয়া। অনেক সময় প্রিয় মানুষের সাথে কিছু সময় কথা বলার ফলে ও মানসিক চাপ অনেকাংশে কমে যাওয়া সম্ভব। এই সকল পদ্ধতি অনুসরণ করলে মানসিক চাপ কমে যাবে এবং মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

লেখক এর মন্তব্য 

মানসিক সমস্যার ফলে যে কোন ব্যক্তির মাঝে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। মানসিক সমস্যাকে ছোটখাটো সমস্যা ভেবে ভুল করা একদম উচিত নয়। আর মানসিক রোগীকে পাগল ভেবে পাগলা গারদে রেখে আসা তার প্রতিকার নয়। মানসিক রোগের আক্রান্ত হলে আমাদের উচিত তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। যত দ্রুত সম্ভব মানসিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে মানসিক রোগের সমাধান পাওয়া সম্ভব। আজকে আমরা আমাদের পোস্টে মানসিক রোগের লক্ষণসমূহ এবং মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। পোস্টটি সম্পর্কে যেকোনো ধরনের তথ্য জানতে চাইলে আমাদের কমেন্ট সেকশনে মতামত দিন। ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিডপয়েন্ট ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url