ল্যাপটপ কেনার পূর্বে বিবেচ্য বিষয় - কম দামে ভালো ল্যাপটপ কিনুন

বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই ল্যাপটপের প্রয়োজন হয়। অনেক সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে এবং বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে ল্যাপটপ কেনার প্রয়োজন হয়। ল্যাপটপ কেনার পূর্বে বিবেচ্য বিষয় সমূহ হলো: ল্যাপটপের কনফিগারেশন, ল্যাপটপের ফিচার ওয়াকার এবং ল্যাপটপ এর দাম। ল্যাপটপ কেনার পূর্বে ল্যাপটপের প্রসেসর, RAM, ROM, ডিসপ্লে, স্টোরেজ সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা উচিত। সর্বশেষ বিবেচ্য বিষয় হলো ল্যাপটপের দাম। বাজেট অনুযায়ী কম দামে ভালো ল্যাপটপ কিনুন।কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে ল্যাপটপ কেনা উচিত।
ল্যাপটপ কেনার পূর্বে বিবেচ্য বিষয় - কম দামে ভালো ল্যাপটপ কিনুন
ল্যাপটপ অধিক সময় ধরে ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা না হয় তাহলে ৪ জিবি থেকে ৮ জিবি পর্যন্ত RAM হলেই হবে। যদি ল্যাপটপ সাথে করে ভ্রমণ করতে চান এবং তাহলে সুবিধার খাতিরে ছোট ডিসপ্লের ল্যাপটপ কিনতে পারেন। অধিক পরিমাণে স্টোরেজ, ব্যাটারি সক্ষমতা ও চার্জ ব্যাকআপ দেখে বাজেট অনুযায়ী ল্যাপটপ কেনা উচিত।

ল্যাপটপ বলতে কি বুঝায়? 

ল্যাপটপ হলো এমন এক ধরনের ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা নোটবুক যা বিভিন্ন স্থানে বহন করে নিয়ে যাওয়া যায় খুব সহজে। কম্পিউটারের যাবতীয় সকল সুযোগ সুবিধা ল্যাপটপগুলোতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে, শিক্ষার কাজে, ওয়েব ব্রাউজিং এর ক্ষেত্রে, গেম খেলার জন্য আরো বিভিন্ন কারণে ল্যাপটপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কারেন্ট না থাকলেও রিচার্জেবল ব্যাটারির প্যাক দ্বারা ল্যাপটপ যে কোন স্থানে ব্যবহার করা যায়। ল্যাপটপের মধ্যে ইনবিল্ড অবস্থায় কিবোর্ড থাকে। ল্যাপটপে মাউস এর পরিবর্তে টাচপ্যাড ব্যবহার করা হয়।
সর্বপ্রথম বাণিজ্যিকভাবে বহনযোগ্য কম্পিউটারের নাম IBM 5100 । ১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসের দিকে এটি বাজারে প্রচলিত হয়েছিল। কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজ হলেও আধুনিক ল্যাপটপের জনক বলা হয় বিল মোগরিজ নামক ব্যক্তিকে। বর্তমানের সবচেয়ে সেরা ল্যাপটপ হল Apple MacBook Air 13 inch। ল্যাপটপ ক্রয়ের ক্ষেত্রে ১২ এবং ১৩ প্রজননের ল্যাপটপ গুলো ব্যবহারের জন্য অধিক উপযোগী। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ল্যাপটপ হচ্ছে Titan 18 HX।

ল্যাপটপ কেনার পূর্বে বিবেচ্য বিষয়

বর্তমানে যে কোন কর্ম ক্ষেত্রে ল্যাপটপ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ল্যাপটপ কেনার পূর্বে কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত। যে সকল বিষয়ে মাথায় রেখে ল্যাপটপ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত সেই বিষয়গুলোর নিচে আলোচনা করা হলো।
  • টাচস্ক্রিন ল্যাপটপ: আপনি যদি টাচ বা স্পর্শের মাধ্যমে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তাহলে আপনার জন্য টাচ স্ক্রিন ল্যাপটপ ক্রয় করা উচিত‌। এই ধরনের ল্যাপটপ গুলো কিবোর্ড যুক্ত ল্যাপটপ হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। ৫০ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যেই বাজারে বিভিন্ন ধরনের টাচ স্ক্রিন সুবিধা সম্পন্ন ল্যাপটপ পেয়ে যাবেন। যদি বিনোদনের উদ্দেশ্যে সিনেমা দেখা, গান শোনা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা অথবা অন্যান্য যে কোন ছোটখাটো কাজের জন্য কম দামের একটি সাধারণ ল্যাপটপ কিনলেই যথেষ্ট। এক্ষেত্রে আপনি ১৫ ইঞ্চি ডিসপ্লের মনিটরসহ ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারেন।
  • ডিজাইন এবং ওজন: ল্যাপটপ যদি আপনি বিভিন্ন স্থানে সুবিধার সাথে সহজে বহন করতে চান তাহলে হালকা বা পাতলা ওজনের ল্যাপটপ ক্রয় করা অধিক যুক্তিসঙ্গত হবে। এক্ষেত্রে এমন একটি ল্যাপটপ নির্বাচন করতে হবে যার ডিসপ্লে ১২ থেকে ১৩ ইঞ্চি হবে এবং যা দীর্ঘ সময় ধরে চার্জ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে। অপরদিকে যদি আপনি অফিসের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কাজের জন্য ল্যাপটপ ক্রয় করতে চান তাহলে ১৪ থেকে ১৫ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লে যুক্ত ল্যাপটপ ক্রয় করা অধিক কার্যকরী হবে। আপনি যদি কোন ব্লগার বা গেমার হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ছবি ও ভিডিও এডিটিং এর জন্য শক্তিশালী ল্যাপটপ ক্রয় করা উচিত। এক্ষেত্রে ১৭ ইঞ্চির ডিসপ্লে যুক্ত ল্যাপটপ কিনতে পারেন। এ সকল ব্যাটারি কেনার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যে সেল যত বেশি থাকবে তত ভাল, কারণ যত বেশি ব্যাটারি থাকবে তার চার্জ ধারন ক্ষমতা তত বেশি সময় পর্যন্ত থাকবে। ফলশ্রুতিতে আপনি কোথাও বাইরে ভ্রমণ করতে গেলে দীর্ঘ সময় ধরে ল্যাপটপ ব্যবহার করার সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
  • স্টোরেজ ক্ষমতা: ল্যাপটপ কেনার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে আপনার ল্যাপটপে কি পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করার সুবিধা রয়েছে। আপনি চাইলে ফ্ল্যাশ স্টোরেজ ব্যবহার করতে পারেন এটির দাম তুলনামূলক বেশি হলেও এটি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম ‌। এটি আকারে ছোট হলেও দ্রুত কাজ করে।
  • অপারেটিং সিস্টেম: বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সফটওয়্যার ইন্সটল করার জন্য এবং অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে প্রিলোডেড অপারেটিং সিস্টেম নির্ভর ল্যাপটপ ক্রয় করা উচিত। এতে খরচ সামান্য বেশি হলেও ল্যাপটপ ক্রয়ের সময়েই আপনি আপনার স্বাচ্ছন্দ অনুযায়ী যে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে চান সেটি ইন্সটল করে নিবেন।
  • ল্যাপটপের সাইজ: যদি বাসায় ব্যবহার করা অথবা অফিসের কোন প্রাতিষ্ঠানিক কাজে করার যদি বাসায় ব্যবহার করা অথবা অফিসের কোন প্রাতিষ্ঠানে কাজ করার লক্ষ্যে ল্যাপটপ ক্রয় করলে সাধারণত বড় আকারের ল্যাপটপ হওয়া সুবিধাজনক। এতে চোখের সুবিধা হবে এবং আপনি সুবিধে অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন। আর যদি শুধুমাত্র প্রেজেন্টেশন দেওয়ার জন্য ল্যাপটপ কিনেন তাহলে ছোট স্কিনের ল্যাপটপ কেনার অধিক যুক্তিযুক্ত হবে।
  • ফিচার সমূহ: ল্যাপটপ ক্রয়ের পূর্বে ল্যাপটপের ফিচার সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। ইন্টেল বা এ এম ডি এর মাল্টিকোর সিপিইউ সংযুক্ত ল্যাপটপ ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। ল্যাপটপ কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে ল্যাপটপে তিন-চারটি ইউএসবি পোর্ট রয়েছে কিনা। তাছাড়া ল্যাপটপের গতি দেখে নিতে হবে। সব সময় চেষ্টা করবেন দ্রুত গতি সম্পন্ন ল্যাপটপ ক্রয় করার এতে কাজ করে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন। আপনি যদি গেম খেলা বা ভিডিও ও গ্রাফিক্সের কাজের জন্য ল্যাপটপ ক্রয় করেন তাহলে অধিক রেজুলেশন ও উচ্চ গতিসম্পন্ন ল্যাপটপ ক্রয় করা উচিত। প্রসেসরের ক্লক স্পিড ৩ গিগাহার্জের বেশি হলে কাজ করে সুবিধা পাওয়া যায়। গ্রাফিক্সের বিভিন্ন ধরনের কাজ করার ক্ষেত্রে গ্রাফিক্সের সক্ষমতা যাচাই করে নেওয়া উচিত। আপনি যদি আপনার ল্যাপটপে গ্রাফিক্সের বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে চান তাহলে সর্বনিম্ন ৪ গিগাবাইট এর DDR3 RAM হলে ভালো হয়। আপনি চাইলে একটি জনপ্রিয় প্রসেসর এএমডির রাইজেন ব্যবহার করতে পারেন। ল্যাপটপের সব সময় লেটেস্ট জেনারেশন এর প্রসেসর নেওয়া উচিত।
  • ব্রান্ড নেম: যেকোনো রকমের পুরাতন ল্যাপটপ কিনার ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড লক্ষ্য করা অত্যন্ত জরুরি। তাছাড়া ল্যাপটপের গ্যারান্টি এবং ওয়ারেন্টি দেখে ল্যাপটপ ক্রয় করা উচিত। মার্কেটে যে সকল ব্র্যান্ডের পরিচিতি বেশি এবং যে সকল ব্র্যান্ডের ওপর গ্রাহকরা আস্থা রাখতে পারে সেই সকল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ ক্রয় করা উচিত। লক্ষ্য রাখবেন এমন স্থান থেকে ল্যাপটপ ক্রয় করার যেখানে আপনি ডিলারদের কাছ থেকে ল্যাপটপ ক্রয়ের পরবর্তী বিভিন্ন ধরনের সেবা ও সার্ভিস পেতে পারেন। ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি কার্ড, চার্জার ব্যাগ, এবং বাকি আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্রগুলো দেখে শুনে ক্রয় করা উচিত ‌।
  • কানেক্টিভিটি এবং পোর্ট: বর্তমানে ল্যাপটপে ইনভিল্ড ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ দেওয়া থাকে। এগুলো স্ট্যান্ডার্ড মানের আছে কিনা সেগুলো যাচাই করে ল্যাপটপ ক্রয় করা উচিত। অনেক সময় অতিরিক্ত তথ্য সংরক্ষণের জন্য এক্সট্রা এসডি কার্ড লাগানোর প্রয়োজন পড়তে পারে। ল্যাপটপ ক্রয় করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে ল্যাপটপে অতিরিক্ত এসডি কার্ডের পোর্ট আছে কিনা। ইউএসবি থ্রি পোর্টের মাধ্যমে দ্রুত গতিতে ডাটা ট্রান্সফার করা সম্ভব হয় এজন্য ল্যাপটপ ক্রয়ের ক্ষেত্রে যে সকল ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্ট তিন আছে, সেই ল্যাপটপ ক্রয় করা উচিত।
  • কিবোর্ড: আপনি যেই কিবোর্ড ব্যবহার করে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন দেখতে হবে যে সেই ধরনের কিবোর্ড ল্যাপটপে রয়েছে কিনা। কেনার সময় লক্ষ্য করে রাখতে হবে যে কিবোর্ডে ইন বিল্ড ব্যাকলাইট আছে কিনা। যদি ব্যাক লাইটার ব্যবস্থা থাকে তাহলে আপনি অন্ধকারের মধ্যেও বোতাম গুলো ভালোমতো দেখতে পারবেন।
  • ল্যাপটপ ক্রয়ের বাজেট: ল্যাপটপ ক্রয়ের বিবেচ্য বিষয় সমূহের মধ্যে একটি হল বাজেট নির্ধারণ। আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারবেন। কোন ফিচার যুক্ত কোন প্রসেসর যুক্ত ল্যাপটপ কিনবেন তা আপনার বাজেটের উপর নির্ভর করে। এইজন্যে ল্যাপটপ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট বাজেট করে সেই অনুযায়ী ল্যাপটপ ক্রয় করা উচিত।

কম দামে ভালো ল্যাপটপ কিনুন

অনেক ব্যক্তি নিজেদের বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে প্রয়োজনের জন্য সব সময় তাদের নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে ল্যাপটপ কিনতে চাই। অনেকের কাছে ল্যাপটপ কেনার জন্য অধিক পরিমাণে বাজেট থাকে না। এজন্য আমার পরামর্শ, কম দামে ভালো ল্যাপটপ কিনুন। নিচে কিছু কম বাজেটের মধ্যে ভালো ল্যাপটপের তথ্য তুলে ধরা হলো।
  • HP-15da0021tu (Celeron Dual Core): ল্যাপটপের জগতে একটি চেনা পরিচিত নাম হচ্ছে HP । যদি আপনার বাজেট কম থাকে এবং আপনি কম দামের মধ্যে ভালো ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে এইচপি মডেলের Celeron Dual Core এই ল্যাপটপটি আপনার জন্য ভালো ও কার্যকরী হবে। এই ল্যাপটপে আপনি এক বছরের ওয়ারেন্টি পেয়ে যাবেন। এই ল্যাপটপটির মূল্য মাত্র ২৩৮০০ টাকা। এটির অপারেটিং সিস্টেম হলো উইন্ডোজ 10। এই ল্যাপটপকে ডিসপ্লে হল 15.6 inches HD SVA । এই ল্যাপটপে রয়েছে ৪ জিবি RAM। এই ল্যাপটপে Intel Celeron N4000 প্রসেসর সংযুক্ত রয়েছে।গ্রাফিক্স কার্ড রয়েছে Intel HD Graphics 600 । তাছাড়া রয়েছে 3 cell 41 WH Li-ion ব্যাটারি এবং প্রায়৭ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ।৫১২ জিবি এবং ৫৪০০ আর পি এম হার্ড ডিস্ক।এই ল্যাপটপের ডিসপ্লে রেজুলেশন হল ১৩৬৬×৭৬৮। এই ল্যাপটপের বডি ডাইমেনশন হচ্ছে ৬×২৪.৬×২.২৫ সেন্টিমিটার। এর ওজন ১.৭৭ কেজি। আর এর বডির রং সাধারণত সিলভার কালারের হয়।
  • Asus Vivobook X540YA (AMD E1 6010): আপনি যদি asus কোম্পানির ল্যাপটপ ক্রয় করতে চান তাহলে এই মডেলটি আপনার জন্য বাজেট ফ্রেন্ডলি একটি মডেল হবে। এই মডেলের ল্যাপটপ দ্বারা আপনি আপনার যেকোনো প্রাতিষ্ঠানিক কাজ, ইন্টারনেট ব্যবহার এবং গেম খেলা সহ আরো অন্যান্য অনেক ধরনের কাজ করতে পারবেন। এই ল্যাপটপটিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়ার ও কনফিগারেশন। এই ল্যাপটপটির মূল্য হল ২৪ হাজার ৫০০ টাকা। এই ল্যাপটপটিতে দুই বছরের জন্য ওয়ারেন্টি প্রদান করা হয়। এই ল্যাপটপটির ওজন সাধারণত ২ কেজি হয়। এটির বডি কালার কালো এবং নীল হয়। এটিতে আপনি পাবেন এইচডি এটিতে আপনি পাবেন HD webcam । এটিতে রয়েছে তিন সেল এর ব্যাটারি এবং ৪ ঘন্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ। এটিতে রয়েছে AMD Radeon R2 Graphics Card। তাছাড়া রয়েছে ৪ জিবি এর DDR3 RAM । এটিতে রয়েছে ১৫.৬ ইঞ্চির Anti Glare ডিসপ্লে।AMD E1 6010 processor সংযুক্ত। তাছাড়া এর ডিসপ্লে রেজুলেশন হল ১৩৬৬×৭৮৬ HD।
  • Walton WPR14N33SL : বাংলাদেশের কোন কোম্পানির ল্যাপটপ যদি কিনতে যান তাহলে ওয়ালটনের এই মডেলটি আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে। এটি থেকে আপনি কম দামে ভালো সার্ভিস যুক্ত একটি ল্যাপটপ পেয়ে যাবেন। যেখানে আপনি অন্যান্য ল্যাপটপ এর মত বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কাজ, বিনোদন, ব্লগিং এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এই মডেলের ল্যাপটপটির মূল্য ১৯৯৯০ টাকা। এটির ওয়ারেন্টি সাধারণত দুই বছরের জন্য হয়ে থাকে। এটির ওজন ১.৩৩ কেজি। এই ল্যাপটপে উইন্ডোজ টেন অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। এর বডি কালার ব্ল্যাক। এটিতে রয়েছে ৩৮ ওয়াটের ব্যাটারি। এই ল্যাপটপের ডিসপ্লে ১৪.১ ইঞ্চি। এটিতে রয়েছে Intel Apollo lake প্রসেসর। Intel HD graphics 500 এর গ্রাফিক্স কার্ড। তাছাড়াও রয়েছে ১ টেরা বাইট HDD হার্ডডিস্ক। এটি ডিসপ্লে রেজুলেশন হলো ১৩৬৬×৭৬৮। এটি টা আরো রয়েছে VGA 0.3 HD ওয়েবক্যাম।
  • Acer Aspire 3 A315- 53 N17C4: যারা Acer ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কিনতে চান তাদের জন্য এই মডেলটি best হবে। এটিতে ভালো মানের হার্ডওয়ার কনফিগারেশন এবং বিভিন্ন ধরনের এডভান্স ফিচারস ও ডিজাইন রয়েছে। এই মডেলটির মূল্য মাত্র ২৪ হাজার ৫০০ টাকা। এটিতে আপনি দুই বছরের ওয়ারেন্টি পেয়ে যাবেন। এটির ওজন ২.১০ কেজি। এই ল্যাপটপে রয়েছে ৫০০ জিবির হার্ডডিস্ক। এটিতে রয়েছে উইন্ডোজ টেন অপারেটিং সিস্টেম এবং HD ওয়েবক্যাম। তাছাড়া এটি তো রয়েছে দুই সেল এর ব্যাটারি এবং চার ঘন্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ। এই ল্যাপটপের ডিসপ্লে ১৫.৬ ইঞ্চি। আরো রয়েছে ৪ জিবি RAM। Intel HD graphics 610 এর গ্রাফিক্স রয়েছে। তাছাড়া এটির ডিসপ্লে রেজুলেশন হলো ১৩৬৬×৭৬৮।Intel Celeron processor 3867U এর প্রসেসর রয়েছে। এটির বডি কালার হল obsidian black ।
  • Dell Inspiron n3552 Celeron Dual Core: বাজারে যে সকল প্রচলিত ল্যাপটপ আছে তার মধ্যে অন্যতম সেরা একটি কোম্পানি হল ডেল কোম্পানি। এই কোম্পানির ল্যাপটপের দাম একটু বেশি হলেও স্বল্প বাজেটের ক্ষেত্রে Dell Inspiron n3552 Celeron Dual Core এই মডেলটি ল্যাপটপ পেয়ে যাবেন। এই মডেলের মূল্য মাত্র ২২ হাজার ৯০০ টাকা। এই মডেলে পেয়ে যাবেন দুই বছরের ওয়ারেন্টি। এই ল্যাপটপের ওজন ২ কেজি। এডিতে রয়েছে HD ওয়েবক্যাম। তাছাড়া আরও রয়েছে ৪ cell, Li-ion battery, এবং ৫ ঘণ্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ। এটিতে রয়েছে চার জিবি RAM। এটির ডিসপ্লে ৬ ইঞ্চি। এই ল্যাপটপ সাধারণত কালো কালারের হয়ে থাকে। এই ল্যাপটপ এর ডিসপ্লে রেজুলেশন হচ্ছে ১৩৬৬×৭৬৮।Intel Celeron processor N3060 এর প্রসেসর।

লেখক এর মন্তব্য

বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তির যুগে ল্যাপটপ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক কোনো কাজ সম্পাদন করা প্রায় অসম্ভব। এই জন্য যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষেত্রে ল্যাপটপের ব্যবহার সম্পর্কে জানা জরুরী। অনেকে টাকার স্বল্পতা থাকার কারণে ল্যাপটপ কিনতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকে। আশা করি আমার এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে বুঝতে পেরেছেন যে, কম দামের মধ্যে কাজ করার জন্য কোন ল্যাপটপটি সবথেকে বেশি ভালো হবে। ধৈর্য সহকারে সম্পন্ন পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এই পোস্ট সম্পর্কে যেকোনো তথ্য জানতে চাইলে কমেন্ট সেকশনে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিডপয়েন্ট ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url