চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং প্রশ্ন
আমাদের সকলের জীবনের একটি সাধারণ লক্ষ্য হচ্ছে পড়াশোনার পর কোন ভালো সরকারি
চাকরি করা। এমন ধরনের চাকরি করা যেখানে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা, উপযুক্ত
বেতন, সামাজিক মর্যাদা এবং নিরাপত্তা বিদ্যমান থাকে। তাই একটি ভাল চাকরির পেতে
হলে সেই চাকরির জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া খুবই জরুরী। সবার প্রথমে আপনাকে
নির্বাচন করতে হবে আপনার যোগ্যতা অনুসারে কোন চাকরি আপনার জন্য উপযুক্ত হবে।
চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমূহ জেনে নিতে হবে।
কিছু প্রশ্ন আছে যেগুলো যেকোনো চাকরির কমন প্রশ্ন । এই সকল প্রশ্ন সম্পর্কে
পূর্ব থেকে ধারণা ও প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।
দেশে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ধরনের চাকরি থাকলেও অধিকাংশ মানুষ নিরাপত্তার খাতিরে
সরকারি চাকরিতে অধিক আগ্রহী। কারণ সরকারি চাকরিতে বেতনের পরিমাণ কম হলেও বিভিন্ন
ধরনের ভাতা এবং অবসর গ্রহণের পর পেনশনের সুবিধা পাওয়া যায়।
ভূমিকা
চাকরি করার ক্ষেত্রে আপনার সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে আপনি কোন চাকরির জন্য
উপযুক্ত। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক রেখে সামনে আগানো অত্যন্ত জরুরী। কারণ লক্ষ্য
স্থির না থাকলে আপনি কখন কি করবেন? কি বিষয়ে চাকরি করবেন? এটি নির্দিষ্ট করতে
অসুবিধা হয়। আপনার চাকরির জন্য সর্বপ্রথম লক্ষ্য পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির
প্রস্তুতি গ্রহণ করা। আপনি যদি পড়াশুনায় ভালো রেজাল্ট করেন তার ভিত্তিতে আপনি
চাকরিতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তাছাড়া বিভিন্ন কারিকুলাম এক্টিভিটিসে
সংযুক্ত থাকলে সেগুলোর সার্টিফিকেট চাকরির ইন্টারভিউ এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে থাকে।
চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
পড়ালেখার পাশাপাশি আপনাকে প্রতিদিন বাংলা ইংরেজি গণিত ও সাধারণ জ্ঞানের বিষয়ে
যেগুলো প্রশ্ন থাকে সেগুলো প্র্যাকটিস করতে হবে। তাছাড়াও বাংলা সাহিত্য, বিভিন্ন
লেখকের জন্ম-মৃত্যু সাল ও বাসস্থান, বড় বড় মনীষীদের আত্মজীবনী, বাংলাদেশের
স্থাপত্য, দেশীয় আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, মুক্তিযুদ্ধের তথ্য ও আরো
বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখা প্রয়োজন। বর্তমান যুগ আধুনিক প্রযুক্তির যুগ।
এই সময় আপনি যদি কম্পিউটার পরিচালনায় পারদর্শী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার
উপার্জনের ক্ষেত্রে কোন বাঁধা থাকবে না। আপনি চাইলে কম্পিউটার অপারেটরের চাকরি
করতে পারেন যেকোনো প্রতিষ্ঠানে অথবা নিজস্ব উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গঠন
করতে পারেন। চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমূহ এই
পোস্টে বিস্তারিত পেয়ে যাবেন।
চাকরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান, ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ু সম্পর্কিত তথ্য
- বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার বা ৫৬,৯৭৭ বর্গমাইল।
- বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে।
- বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের পাঁচটি রাজ্য রয়েছে। সে রাজ্যগুলো হল পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম।
- বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা কক্সবাজার।
- বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের থানা টেকনাফ।
- বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের ইউনিয়ন হচ্ছে সেন্ট মার্টিন। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের দ্বীপ হলো ছেঁড়া দীপ।
- বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা হল পঞ্চগড়।
- বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের থানা হলো তেতুলিয়া।
- বাংলাদেশের ভারত ও মিয়ানমারকে স্পর্শ করেছে রাঙ্গামাটি জেলা।
- ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা রয়েছে ৩০ টি।
- মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা রয়েছে তিনটি। এই জেলাগুলো হচ্ছে রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার ও বান্দরবান।
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল।
- সেন্ট মার্টিন হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ।
- বাংলাদেশকে পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ বলা হয়।
- সমুদ্র সমতল থেকে সবচেয়ে উঁচু স্থানে অবস্থিত জেলা হচ্ছে দিনাজপুর। দিনাজপুর সমুদ্র সমতল থেকে ৩৭.৫ মিটার উঁচুতে অবস্থিত।
- বাংলাদেশের সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত হওয়ায় স্থানের নাম হচ্ছে নাটোরের লালপুর।
- সিলেটের লাল খানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে।
চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় ও বিশেষ বিষয়াবলী তথ্য
- বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম এর ডিজাইনার এম এন সাহা।
- বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের রূপকার কামরুল হাসান।
- বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের গীতিকার ও ও সুরকার হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
- বাংলাদেশের রণ সংগীতের রচয়িতা হলেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
- বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অনুপাত ১০:৬ বা ৫:৩।
- বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয় ১৯৭১ সালের ২ মার্চ।
- বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করেন আ. স. ম. আব্দুর রব।
- বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কামরুল হাসান।
- জাতীয় তিন নেতা হলেন, শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং খাজা নাজিম উদ্দিন।
- জাতীয় স্মৃতিসৌধ এর ফলক রয়েছে সাতটি।
- জাতীয় স্মৃতিসৌধ এর উচ্চতা ৪৬ .৫ মিটার/১৫০ ফুট।
- জাতীয় স্মৃতিসৌধ অবস্থিত সাভারে।
- জাতীয় স্মৃতি সৌধে গণ কবর রয়েছে দশটি।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান, নদ-নদী, হাওর, পাহাড়, বন্দর, ও ঝর্ণা সংক্রান্ত তথ্য।
চাকরির পরীক্ষায় অনেক সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান, নদ-নদী, হাওর ,পাহাড়,
পর্বত ,ঝর্ণা সংক্রান্ত অনেক ধরনের প্রশ্ন থাকে। এইজন্যে এই সকল বিষয় সম্পর্কে
জানা অত্যন্ত জরুরী। চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
জানার জন্য নিচের বিষয়গুলো মনে রাখা জরুরী। এগুলো হলো যেকোনো চাকরির কমন প্রশ্ন।
- মসজিদের শহর বলা হয় ঢাকা কে।
- পটুয়াখালীকে বলা হয় সাগরকন্যা।
- হিমালয় কন্যা বলা হয় পঞ্চগড় কে।
- বাংলার শস্য ভান্ডার বলা হয় বরিশালকে।
- কুমিল্লার দুঃখ বলা হয় গোমতীকে।
- ঢাকার পুরনো নাম হল জাহাঙ্গীরনগর।
- চট্টগ্রামের পুরনো নাম ইসলামাবাদ।
- খুলনার পুরনো নাম জাহানাবাদ।
- বরিশালের পুরো নাম হচ্ছে চন্দ্রদ্বীপ।
- সিলেটের পুরনো নাম হচ্ছে জালালাবাদ।
- ময়মনসিংহের পুরনো নাম নাসিরাবাদ।
- মহাস্থানগড় এর পূর্ব নাম পুন্ড্রবর্ধন।
- কুমিল্লার পূর্ব নাম ত্রিপুরা।
- গাজীপুরের পূর্ব নাম জয়দেবপুর।
- বাংলাদেশ ও ভারতকে পৃথক কারী নদীর নাম হচ্ছে হাড়িয়াভাঙ্গা নদী।
- মেঘনা নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে সিলেট জেলার মধ্য দিয়ে।
- তিস্তা নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে নীলফামারী জেলার মধ্য দিয়ে।
- ভারত ফারাক্কা বাঁধ তৈরি করেছে গঙ্গা নদীর উপর।
- কর্ণফুলী নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি জেলার মধ্য দিয়ে।
- ডাকাতিয়া নদীকে পশ্চিমা বাহিনীর নদী বলা হয়।
- ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন নদী রয়েছে ৫৪ টি।
- বাংলাদেশের নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট অবস্থিত রয়েছে ফরিদপুরে।
- জোয়ার ভাটা হয় না গোমতী নদীতে।
- পদ্মা ও মেঘনা নদীর মিলিত স্থান চাঁদপুর।
- পদ্মা ও যমুনা নদীর মিলিত স্থান গোয়ালন্দ রাজবাড়ি।
- নিঝুম দ্বীপ অবস্থিত মেঘনা নদীর মোহনায়। এটি নোয়াখালী জেলার অন্তর্গ। এই নিঝুম দ্বীপ হাতিয়া হতে ৯৭ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। নিঝুম দ্বীপের আয়তন প্রায় ৯০ বর্গমাইল অথবা ৯১ বর্গ কিলোমিটার।
- বাংলাদেশের বৃহত্তম ব-দ্বীপের নাম হচ্ছে সুন্দরবন।
- বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ হলো ভোলা যার আয়তন ৩৪০৩ বর্গ কিলোমিটার।
- বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পাহাড়ের নাম হচ্ছে গারো পাহাড় , যার উচ্চতা ২০৫০ ফুট। এবং এটি ময়মনসিংহ অবস্থিত।
- বাংলাদেশের পাহাড় সমূহ গঠিত হয়েছিল টারশিয়ারি যুগে।
- লালমাই পাহাড় অবস্থিত কুমিল্লাতে, যার উচ্চতা ২১ মিটার।
- বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ হল তাজিংডং অথবা বিজয়। এটির উচ্চতা ৩১৮৫ ফুট। এটি বান্দরবান এ অবস্থিত।
- বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ হল কেউ ক্রাডং যা বান্দরবান এ অবস্থিত।
- মাধবকুণ্ড ঝর্ণা থেকে পানি পড়ে ২৫০ ফুট উঁচু হতে।
- সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে গরম পানির ঝরনা রয়েছে।
- বাংলাদেশের একমাত্র জলপ্রপাত হলো মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত যার উৎপন্ন স্থান মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার পাথারিয়া পাহাড় ।
- বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার সাধু পানির হ্রদ হল বগা লেক
- বাংলাদেশের প্রথম ইকোপার্ক অবস্থিত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথের পাহাড়ে।
- বাংলাদেশের প্রথম সাফারি পার্ক হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর সাফারি পার্ক যা কক্সবাজারের ডুলাহাজরাতে অবস্থিত।
- বাংলাদেশের জাতীয় উদ্যান হলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
- বাংলাদেশের প্রধান নদী বন্দর হলো নারায়ণগঞ্জ।
- বাংলাদেশের স্থলবন্দর রয়েছে ২৪ টি।
- বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থল বন্দর হলো বেনাপোল।
- বাংলাদেশের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার যার দৈর্ঘ্য ১৫৫/১২০ কিলোমিটার।
- সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত একসাথে দেখা যায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে।
- বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর তিনটি। এগুলো হলো চট্টগ্রাম, মংলা এবং পায়রা।
- সিলেটের স্থলবন্দর হলো ভোলাগঞ্জ।
- কক্সবাজারে স্থলবন্দর টেকনাফ।
- দিনাজপুরের স্থলবন্দর হিলি।
- চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থলবন্দর সুনাম মসজিদ।
- নীলফামারীর স্থলবন্দর চিলাহাটি।
- বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাওর হাকালুকি। এটি মৌলভীবাজারে অবস্থিত।
- টাঙ্গুয়ার হাওর অবস্থিত সুনামগঞ্জ জেলায়।
- চলন বিলের মধ্য দিয়ে আত্রাই নদী প্রবাহিত হয়েছে।
- বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিল হল চলন বিল। এই বিলটি পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থিত।
- বাংলাদেশের চর বেশি হল যমুনা নদীতে।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা, উপজাতি, কৃষি ও শিল্প সম্পদ সম্পর্কিত তথ্য
অনেক সময় চাকরিতে ইন্টারভিউ এর প্রশ্নে দেশের জনসংখ্যা, উপজাতি, বিভিন্ন ধরনের
কৃষি সম্পদ এবং শিল্প সম্পদ সম্পর্কিত অনেক ধরনের প্রশ্ন করা হয়। এইজন্য এই
সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখা জরুরী। চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার জন্য এই
তথ্যগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো সাধারণ জ্ঞানের লিখিত পরীক্ষাতে প্রায়ই এসে
থাকে।
- বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারি হয় ১৯৭৪ সালে।
- বাংলাদেশে পঞ্চম বার আদমশুমারি হয় ২০১১ সালে।
- আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয় প্রতি ১০ বছর পর পর।
- জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের স্থান অষ্টম।
- জনসংখ্যার দিক দিয়ে মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ।
- জনসংখ্যার দিক দিয়ে মুসলিম বিশ্বে প্রথম দেশ হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া এবং দ্বিতীয় হচ্ছে পাকিস্তান।
- বাংলাদেশের কিশোর অপরাধের বয়স সীমা ৭ থেকে ১৬ বছর।
- বাংলাদেশে মোট উপজাতি রয়েছে ৩১ টি।
- বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি উপজাতি হল চাকমা।
- বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজাতি গোষ্ঠী হল সাঁওতাল।
- বাংলাদেশের পিতৃ প্রধান উপজাতি হলো মারমা ও হাজং।
- বাংলাদেশের মাতৃ প্রধান উপজাতি হলো গারো, খাসিয়া ও সাঁওতাল।
- রাখাইন উপজাতিরা বসবাস করে পটুয়াখালী ও কক্সবাজারে।
- পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি উপজেলা বাস করে থাকে।
- রাজবংশী উপজাতিরা বাস করে রংপুরে।
- রাখাইন উপজাতিরা এসেছে মিয়ানমারের আরাকান পাহাড় থেকে।
- রাখাইন সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট অবস্থিত কক্সবাজারের রামুতে।
- বাংলাদেশের প্রধান অর্থকারী ফসল হলো পাট।
- বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল হলো চা।
- বাংলাদেশে মোট চা বাগান রয়েছে ১৬৩ টি। মৌলভীবাজারে রয়েছে ৯০ টি চায়ের বাগান, হবিগঞ্জে রয়েছে ২৩ টি চায়ের বাগান, চট্টগ্রামে রয়েছে ২২ টি চায়ের বাগান, সিলেটে রয়েছে ১৯ টি চায়ের বাগান, পঞ্চগড়ে রয়েছে সাতটি চায়ের বাগান, রাঙ্গামাটিতে রয়েছে একটি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে একটি।
- বিশ্বে চা উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে নবম।
- চা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশ্বে প্রথম দেশ হলো ভারত।
- বিশ্বের চার রপ্তানিতে শীর্ষ দেশ হলো শ্রীলংকা।
- ধান উৎপাদনে শীর্ষ দেশ হলো চীন।
- চাল রপ্তানিতে শীর্ষ দেশ হচ্ছে ভারত।
- গম উৎপাদনের ক্ষেত্রে শীর্ষ দেশ হলো চীন।
- গম রপ্তানিতে শীর্ষ দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র।
- গম আমদানিতে শীর্ষ দেশ হলো মিশর।
- ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান হলো চতুর্থ।
- রূপশীধাম হল উচ্চফলনশীল ধান।
- সবচেয়ে বেশি তুলা হয় যশোরে।
- রেশম গুটির চাষ সর্বাধিক হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
- সরকারি হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট ভূমির মধ্যে বনভূমি রয়েছে ১৭.৫%।
- পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে মোট বনভূমির প্রয়োজন সাধারণত ২৫ পার্সেন্ট।
- রাষ্ট্রীয় বনভূমিতে ২৮ টি জেলায়।
- পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন হচ্ছে সুন্দরবন।
- সুন্দরবনের আয়তন ২৪০০ বর্গমাইল।
- বাংলাদেশের মধ্যে সুন্দরবনের অংশ পড়েছে ৬২%।
- সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলাকে স্পর্শ করেছে সুন্দরবন।
- বাংলাদেশের রাবার বাগান রয়েছে কক্সবাজারের রামুতে।
- বাংলাদেশের বন গবেষণা কেন্দ্র অবস্থিত চট্টগ্রামে।
- বাংলাদেশের শালবৃক্ষের জন্য বিখ্যাত স্থান হল মধুপুর ও ভাওয়ালের বনভূমি।
- জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু হয়েছিল ১৯৭২ সাল থেকে।
- পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাছ হল ইউক্যালিপটাস।
- সিলেট বনাঞ্চলের প্রধান বৃক্ষ হল জারুল।
- চন্দ্রঘোনা কাগজ কলের প্রধান কাঁচামাল বাঁশ।
- বাংলাদেশের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে ময়মনসিংহে।
- ইলিশ মাছের পোনা কে জাটকা বলে।
- মুখে ডিম রেখে বাচ্চা ফুটায় তেলাপিয়া মাছ।
- বাগদা চিংড়ি চাষ করা হয় লোনা পানিতে।
- গলদা চিংড়ি চাষ করা হয় সাধু পানিতে।
- রেনু পোনা ছাড়া হয় বর্ষাকালে।
- ২৩ সেন্টিমিটার বার নয় ইঞ্চির নিচের ইলিশ মাছকে ঝাটকা ইলিশ মাছ বলা হয় যা মারা নিষিদ্ধ।
- গো বসন্ত হচ্ছে গবাদি পশুর রোগ।
- বাংলাদেশে গোচারণভূমি রয়েছে পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায়।
- বাংলাদেশে অতিথি পাখি আসে সাইবেরিয়া থেকে।
- পানির সংকেত h2o
- বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ হল প্রাকৃতিক গ্যাস।
- বাংলাদেশে মোট গ্যাসক্ষেত্র হলো ২৭ টি।
- বাংলাদেশের প্রথম গ্যাস ক্ষেত্রটির নাম সাঙ্গু।
- সাঙ্গু গ্যাস ক্ষেত্রটি অবস্থিত বঙ্গোপসাগরে।
- ২৭ তম সর্বশেষ গ্যাস ক্ষেত্রটি ভোলা সদরে অবস্থিত।
- বাংলাদেশের সর্বপ্রথম গ্যাস উত্তোলন করা হয় ১৯৫৭ সালে।
- বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান মিথেন।
- বাংলাদেশের চুনাপাথরের প্রধান উৎস জাফলং।
- দেশের বৃহত্তম বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হল মেঘনা ঘাট বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
- সবচেয়ে বড় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হল ভেড়ামারা কুষ্টিয়ায়।
- বাংলাদেশের প্রথম আণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পাবনার রূপপুরে।
- বাংলাদেশ অস্ত্র নির্মাণ কারখানা রয়েছে একটি যা গাজীপুরে অবস্থিত।
- খুলনার হার্ডবোর্ড মিলের কাঁচামাল সুন্দরী কাঠ।
- পাকশী কাগজের প্রধান কাঁচামাল আখের ছোবড়া।
- কর্ণফুলী পেপার মিলের কাঁচামাল বাঁশ।
- সুন্দরবনের গেওয়া কাঠ খুলনা পেপার মিলের কাঁচামাল।
- বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সার কারখানা হলো যমুনা সার কারখানা।
- ইউরিয়া সারের কাঁচামাল মিথেন গ্যাস।
- বাংলাদেশের মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি অবস্থিত গাজীপুরে।
মিডপয়েন্ট ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url