কেশর আলু খাওয়ার উপকারিতা - কেশর আলুর পুষ্টিগুণ

আপনি কি কেশর আলু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকে আপনি কি কেশর আলু খাওয়ার উপকারিতা এই বিষয় গুলো নিয়েই আমার আর্টিকেল। কেশর আলু খুবই উপকারী একটি সবজি।
কেশর আলু খাওয়ার উপকারিতা - কেশর আলুর পুষ্টিগুণ
কেশর আলুর পুষ্টিগুণ সকল কিছু আপনি আজকের আর্টিকেল পড়লে জানতে পারবেন। কেশর আলুর জনপ্রিয়তা দেশে বিদেশে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আমাদের সকলের আপনি কি কেশর আলু খাওয়ার উপকারিতা এই বিষয় গুলো জানা প্রয়োজনে। চলুন আর্টিকেল টি শুরু করা যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ

কেশর আলু কি

কেশর আলু আলুর একটি প্রকার।কেশর আলু শীতকালীন সবজি। কেশর আলু শাকালু, শাক আলু, কেশুর আলু নামেও পরিচিত। কেশর আলুর ইংরেজি নাম - Yambean , Jicama, goitenyo ।

কেশর আলুর বৈজ্ঞানিক নাম Pachyrhizus Tuberosus। কিশর আলুর জন্ম মেক্সিকোতে। তবে সুমিষ্ট মূল বিশিষ্ট এই আলুর জনপ্রিয়তা দক্ষিণ এশিয়াতে বেশি। কেশর আলু খাওয়ার উপকারিতা

কেশর আলুর পুষ্টিগুণ

কেশর আলুর পুষ্টিগুণ অনেক। আমরা অনেকেই কেশর আলুর পুষ্টিগণ সম্পর্কে জানিনা। কেশর আলুতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে। কিশর আলুতে রয়েছে শর্করা, ফাইবার, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, প্রোটিন, চর্বি, পানি ইত্যাদি।

কেশর আলুর পুষ্টিগুণ সমূহ নির্দিষ্ট অনুপাতে কেশর আলুতে থাকে। আমাদের দেহের শর্করার চাহিদা পূরণে কেশর আলু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেশর আলুতে প্রচুর স্টার্চ ও আমিষ থাকে। নিচে কেশর আলু পুষ্টিগুণ তুলে ধরা হলো।

কাঁচা অবস্থায় প্রতি ২০০ গ্রাম কেশর আলুর পুষ্টিগুণ সমূহ:
  • ক্যালোরি থাকে - ৩১৮ কে জু
  • শর্করা থাকে - ১৭.৬ গ্রাম
  • চিনি থাকে - ৩.৬ গ্রাম
  • খাদ্য আঁশ থাকে - ৯.৮ গ্রাম
  • চর্বি থাকে - ০.২ গ্রাম
  • প্রোটিন থাকে - ১.৪ গ্রাম
  • ভিটামিন সি থাকে - ৪০.৪ মিগ্রা
  • ভিটামিন ই থাকে - ১ মিগ্রা
  • ভিটামিন কে থাকে - ০.৬ মিগ্রা
  • ক্যালসিয়াম থাকে - ২৪ মিগ্রা
  • আয়রন থাকে - ১.২ মিগ্রা
  • ম্যাগনেসিয়াম থাকে - ২৪ মিগ্রা
  • সোডিয়াম থাকে - ৮ মিগ্রা
  • পটাশিয়াম থাকে - ৩০০ মিগ্রা
  • জিংক থাকে - ০.৪ মিগ্রা
  • পানি থাকে - ৯০ ভাগ

কেশর আলু খাওয়ার উপকারিতা

কেশর আলুতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তাই কেশর আলু খাওয়ার উপকারিতা। কেশর আলুতে রয়েছে শর্করা, ফাইবার, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, প্রোটিন, চর্বি, পানি ইত্যাদি। আমরা অনেকেই কেশর আলু খাওয়ার উপকারিতা জানি না বিধায় কেশর আলু খেতে চাই না।

কেশর আলু খাওয়ার উপকারিতা একবার জানতে পারলে, কেশর আলু খেতে আপনি বাধ্য হবেন। কেশর আলু মিষ্টি, নরম স্বাদের আলু। ছোটো থেকে বড়ো সকলেই কেশর আলু খেতে পারবেন। খাওয়ার উপকারিতা জানলে বাচ্চাদের নির্দ্ধিধায় কেশর আলু খাওয়ানো যাবে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমরা আলু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই। নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

  1. কেশর আলু ত্বকের জন্য উপকারী কারণ কেশর আলুতে রয়েছে ভিটামিন সি। আর আমরা সকলেই জানি ভিটামিন সি ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
  2. কেশর আলুতে অনেক ফাইবার রয়েছে, যা আমাদের হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। তাই কেশর আলু কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।
  3. কেশর আলুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে। ভিটামিন এ আমাদের চোখের জন্য খুব উপকারী। তাই যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কেশর আলু খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
  4. হার্টের সুস্থতার জন্য আমরা অনেক কিছু করি। কাঁচা কেশর আলু খাওয়া হার্ট এর এজন্য অনেক উপকারী। কারণ কাঁচা কেশর আলুতে হার্টের জন্য উপকারী বিভিন্ন উপাদান থাকে।
  5. কিশোর আলো রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। তাই যাদের রক্তশূন্যতা রয়েছে তাদের কেশর আলু খাওয়া উচিত।
  6. কেশর আলু সাধারণত ঠান্ডা হয় এবং এতে প্রায় ৯০ভাগ পানি রয়েছে। তাই দেহের পানি শূন্যতায় কেশর আলু খাওয়া যেতে পারে।
  7. কেশর আলুতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে। তাই দেহে শক্তির জোগাতে কেশর আলুর জুড়ি মেলা ভার।
  8. কেশর আলুতে অনেক ভিটামিন রয়েছে। তাই কেশর আলু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  9. কেশর আলু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে কারণ কেশর আলুতে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
  10. কেশর আলুতে রয়েছে ভিটামিন বি৬। যেটা মস্তিষ্কের নার্ভ সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
  11. কেশর আলু তে শর্করা রয়েছে এবং এটি কম মিষ্টি। তাই কেশর আলু খেলে সমস্যা হয় না আবার পেট ভরা থাকে। তাই কেশর আলু খেলে ওজন কমে।

আপনি এতক্ষণে নিশ্চয়ই কেশর আলু খাওয়ার উপকারিতা জেনে গেছেন। চেষ্টা করবেন প্রতিদিনের খাবারে কেশর আলু রাখার।

কেশর আলু খাওয়ার অপকারিতা

কেশর আলু শীতকালীন সবজি। কেশর আলু অনেক উপকারী সবজি। তবে উপকারী বলেই যে, কেশর আলু বেশি পরিমাণ খাবেন সেটা ঠিক নয়। কিছু কেশর আলু খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি কেশর আলু খাওয়ার অপকারিতা রয়েছে ।

কেশর আলু অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি সবজি। আমাদের শরীরের অনেক পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ করতে এই কেশর আলু সক্ষম। তাই কেশর আলু অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত কেশর আলু খাওয়ার অপকারিতা রয়েছে।

নিচে কেশর আলু খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
  1. কেশর আলুতে আমাদের শরীর জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি ও প্রোটিন আছে। তাই বেশি কেশর আলু খেলে আমাদের শরীরে ভিটামিন সি পরিমাণ বেড়ে যায়। যার ফলে শরীরের ক্ষতি হয়। ।
  2. কেশর আলুতে প্রচুর পরিমাণ পানি রয়েছে। তাই অনেকে পানি শূন্যতা দূর করতে কেশর আলু খান। কিন্তু বেশি বেশি কেশর আলু খেলে আমাদের শরীরে পানি বেড়ে যাবে এবং কিডনির সমস্যা হবে।
  3. কেশর আলু তে অনেক ক্যালোরি রয়েছে তাই বেশি কেশর আলু খেলে হার্টের সমস্যা হবে।
  4. কেশর আলু ঠান্ডা জাতীয় সবজি। তাই বেশি বেশি কিশোর আলু খেলে মুখে ঠান্ডা জমে ঠান্ডা জাতীয় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
  5. অতিরিক্ত কেশর আলু খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এর শোষণ কম ঘটে।
  6. কেশর আলু ভালোভাবে ধুয়ে খেতে হবে। কারণ কেশর আলুর চামড়ায় রেটনন নামক একটি পদার্থ থাকে। যা আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর।
  7. কেশর আলুতে বিভিন্ন জনের এলার্জি থাকতে পারে। যাদের কেশর আলুতে এলার্জি দেখা দিবে তাদের কেশর আলু হতে বিরত থাকা উচিত।

কেশর আলু কোথায় পাওয়া যায়

কেশর আলু কোথায় পাওয়া যায়? আমরা অনেকেই জানি না। কেশর আলু সাধারণত চরাঞ্চলে পাওয়া যায়। আবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে, ঝাড়খন্ডে, বিহারে প্রচুর কেশর আলু চাষ হয়। বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশের ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় কেশর আলু চাষ হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারগুলোতে শীতের সময় কেশর আলু ভালো পরিমাণ পাওয়া যায়। এছাড়াও বছরের অন্যান্য সময়ে বাংলাদেশের বাজারে কেশর আলু মজুদ থাকে। বর্তমানে দেশের গাবসারা উপজেলায় ও অর্জুনা ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণ কেশর আলু চাষ হচ্ছে। গাবসারার রাইবাশালিয়া এলাকায় প্রচুর পরিমাণ কেশর আলু পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের বড় বড় বাজার গুলোতে এখন কেশর আলু পাওয়া যায়। এছাড়াও বর্তমানে অনলাইনের যুগে অনেক বিক্রেতা অনলাইনেও কেশর আলু বিক্রি করেন। আপনি বিভিন্ন ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনলাইনে কেশর আলু অর্ডার করতে পারবেন।

কেশর আলুর দাম কত

আপনি কি কেশর আলুর দাম কত জানতে চান? কেশর আলু কিনার আগে কেশর আলুর দাম কত জানা উচিত। কেশর আলু বর্তমানে প্রায় সব বাজারেই পাওয়া যায়। তাই পূর্বের তুলনায় কেশর আলুর দাম বর্তমানে কমেছে।

কেশর আলুর দাম বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন রকম হতে পারে। কারণ সব এলাকায় ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম এক নয়। আবার কিছু কিছু জায়গায় অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে কেশর আলুর দাম বেশি হয়। ২০২৪ সালে এসে সকল দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে কেশর আলু দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।

কেশর আলু অনেক উপকারী সবজি এবং একই সাথে সুস্বাদু। তাই কেশর আলু খাওয়ার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেশর আলুর বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। জায়গা বিশেষে এ দাম কম বেশি হতে পারে।

কেশর আলুর চাষ পদ্ধতি

কেশর আলুর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণে অনেকেই কেশর আলুর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাদের জন্য আজকে কেশর আলুর চাষ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। কেশর আলু আলুর একটি জাত। কেশর আলুর চাষ পদ্ধতি তুলনামূলক সহজ।

কেশর আলুর চাষ পদ্ধতি কয়েকটি ধাপে বিভক্ত। কেশর আলুর চাষ পদ্ধতি নিচে তুলে ধরা হলো:

মাটি নির্বাচন:

কেশর আলু চাষের জন্য প্রথমে মাটি নির্বাচন করতে হবে। এক্ষেত্রে বেলে দোআঁশ মাটি সর্বোত্তম। আর খেয়াল রাখতে হবে বেলে দোআঁশ মাটির pH যেনো ৫.৫-৬.৫ হয় । পানি সেচের ব্যবস্থা যেন ভালো থাকে।

জমি প্রস্তুত:

জমি দুই থেকে তিনবার ভালোভাবে চাষ করতে হবে। চাষের সময় আবর্জনা, আগাছা, পাথর ইত্যাদি জমি হতে পরিষ্কার করতে হবে। জমিতে জৈব সার অর্থাৎ গোবর অথবা কম পোস্ট মিশিয়ে কিছুদিন রাখতে হবে। জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে।

কেশর আলুর বীজ প্রস্তুত:

কেশর আলুর বীজ হিসেবে সাধারণত কাটা কেশর আলু ব্যবহার করা হয়। বীজ নির্বাচনের সময় লাগবেন যেন কাটা কেশর আলুর দুই থেকে তিনটা কুড়ি থাকে।

বীজ বপনের সময়:

কেশর আলুর বীজ সাধারণত শীতকালে বপন করা হয়। নভেম্বর থেকে অক্টোবর মাস কেশর আলুর বীজ বপন করার সর্বোত্তম সময়।

কেশর আলুর চারা রোপন করার উপায়:

কেশর আলুর চারা রোপন করার জন্য প্রথমে জমিতে একটু উঁচু করে লাইন তৈরি করতে হবে। প্রতিটি লাইনের মধ্যে ৪০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার জায়গা ফাঁকা থাকতে হবে। এরপর প্রতিটি লাইনে কেশর আলুর চারা রোপন করতে হবে। খেয়াল রাখবেন যেন প্রতিটি চারার মধ্যে ২০ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার জায়গা ফাঁকা থাকে। কেশর আলুর চারা গুলো মাটির ১০-১২ সেমি গভীরে রোপন করতে হবে।

কেশর আলুর চারা গুলোর যত্ন নেওয়া:

কেশর আলুর চারা রোপনের নির্দিষ্ট সময় পর পর জমিতে সেচ দিতে হবে। জমিতে আগাছা জন্মালে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। না হলে ফলন ভালো হবে না। নির্দিষ্ট সময় পর জমিতে সার প্রয়োগ করতে হবে। চেষ্টা করবেন নাইট্রোজেন ঘটিত সার ব্যবহার করার। তবে অতিরিক্ত সার ব্যবহার আবার ক্ষতিকর। জমিতে যদি পোকামাকড় বেড়ে যায় অথবা চারাগুলো রোগ আক্রান্ত হয় তাহলে জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করবেন।

কেশর আলু সংগ্রহ: 

সাধারণত বীজ ভবনের ৯০ থেকে ১০০ দিন পর জমি হতে কেশর আলু সংগ্রহ করা যায়। কেশর আলু গুলো জমি হতে সংগ্রহ করে রোদে ভালোভাবে শুকাতে হবে। এরপর সংরক্ষণ করতে হবে।

আশা কেশর আলুর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

শাক আলুর উপকারিতা

আপনার অনেকে দেখে থাকবেন একই জিনিস বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। তেমনই কেশর আলু অনেক জায়গায় শাক আলু নামে পরিচিত। কেশর আলু আর শাক আলু একই জিনিস। শাক আলুর উপকারিতা কেশর আলুর উপকারিতা একই।

শাক আলুতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তাই শাক আলু খাওয়ার উপকারিতা অনেক। শাক আলুতে রয়েছে শর্করা, ফাইবার, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, প্রোটিন, চর্বি, পানি ইত্যাদি। আমরা অনেকেই শাক আলু খাওয়ার উপকারিতা জানি না বিধায় শাক আলু খেতে চাই না।

শাক আলু খাওয়ার উপকারিতা একবার জানতে পারলে, শাক আলু খেতে আপনি বাধ্য হবেন। শাক আলু মিষ্টি, নরম স্বাদের আলু। ছোটো থেকে বড়ো সকলেই শাক আলু খেতে পারবেন। শাক আলু খাওয়ার উপকারিতা জানলে বাচ্চাদের নির্দ্ধিধায় শাক আলু খাওয়ানো যাবে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমরা শাক আলু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই।
  • শাক আলু খাওয়ার উপকারিতা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
  • শাক আলু ত্বকের জন্য উপকারী কারণ শাক আলুতে রয়েছে ভিটামিন সি। আর আমরা সকলেই জানি ভিটামিন সি ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
  • শাক আলুতে অনেক ফাইবার রয়েছে, যা আমাদের হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। তাই শাক আলু কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।
  • শাক আলুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে। ভিটামিন এ আমাদের চোখের জন্য খুব উপকারী। তাই যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য শাক আলু খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
  • হার্টের সুস্থতার জন্য আমরা অনেক কিছু করি। কাঁচা শাক আলু খাওয়া হার্ট এর এজন্য অনেক উপকারী। কারণ কাঁচা কেশর আলুতে হার্টের জন্য উপকারী বিভিন্ন উপাদান থাকে।
  • শাক আলো রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। তাই যাদের রক্তশূন্যতা রয়েছে তাদের শাক আলু খাওয়া উচিত।
  • শাক আলু সাধারণত ঠান্ডা হয় এবং এতে প্রায় ৯০ভাগ পানি রয়েছে। তাই দেহের পানি শূন্যতায় শাক আলু খাওয়া যেতে পারে।
  • শাক আলুতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে। তাই দেহে শক্তির জোগাতে শাক আলুর জুড়ি মেলা ভার।
  • শাক আলুতে অনেক ভিটামিন রয়েছে। তাই শাক আলু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • শাক আলু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে কারণ শাক আলুতে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
  • শাক আলুতে রয়েছে ভিটামিন বি৬। যেটা মস্তিষ্কের নার্ভ সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
  • শাক আলু তে শর্করা রয়েছে এবং এটি কম মিষ্টি। তাই শাক আলু খেলে সমস্যা হয় না আবার পেট ভরা থাকে। তাই শাক আলু খেলে ওজন কমে।
আশা করি আপনি শাক আলুর উপকারীতা জানতে পেরেছেন।

লেখকের শেষ কথা

কেশর আলুর পুষ্টিগুণ; এসব নিয়ে ছিল আমাদের আজকের আর্টিকেল। আজকে আজ আর্টিকেলে কেশর ও বিষয়ক অনেক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়লে আপনি কেশর আলুর পুষ্টিগুণ; সকল কিছু জানতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিডপয়েন্ট ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url