সোনা পাতা খেলে কি হয় - সোনা পাতা চেনার উপায়
সোনা পাতা চেনার উপায় - সোনা পাতা খেলে কি হয়? আজকে এসব নিয়েও আলোচনা করা হবে।
সোনা চেনার উপায় জানা অত্যাবশ্যক। সোনা পাতা খেলে কি না জেনে সোনা পাতা খাওয়া
উচিত নয়। তাই আজকের আর্টিকেলে সোনা পাতা চেনার উপায় - সোনা পাতা খেলে কি হয়? এই
বিষয় গুলো তুলে ধরা হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ
সোনা পাতা চেনার উপায়
সোনা পাতা চেনার উপায় না জানলে ঝামেলায় পড়তে হবে। কারন একই রকম আরও বিভিন্ন
পাতা রয়েছে।
পাতার নাম সোনা পাতা তাই বলে এটি স্বর্ণের পাতা ভেবে ভুল করবেন না। সোনা পাতার
অবয়ব অনেকটা মেহেদী পাতার মতো। সোনা পাতা কাঁচা অবস্থায় সবুজ রঙের হয়ে থাকে।
এই সবুজ রঙের মধ্য হালকা হলুদাভ থাকে।
সোনা পাতা পরিপক্ক হওয়ার পর হলুদ বর্ন ধারণ করে। তাই তো এর নাম সোনা পাতা। সোনা
পাতার মাথায় মঞ্জরী আকারে হলুদ ফুল ফুটে। অনেক সময় এই ফুলের রঙ সাদা অথবা
গোলাপী হয়। সোনা পাতার বীজ সিমের মতো দেখতে তবে অনেক লম্বা ও চ্যাপ্টা। আশা
রাখছি আপনি সোনা পাতা চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
সোনা পাতা কতটুকু খাওয়া যায়?
সোনা পাতা বেশি খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিবে। তাই পরিমাণ মতো সোনা পাতা খাওয়া
উচিত। এখন অনেকেই জানতে চাইবেন যে সোনা পাতা কতটুকু খাওয়া যায়? চিন্তা নেই এর
উত্তরও এই আর্টিকেলে পেয়ে যাবেন। বয়স ভেদে সোনা পাতা কতটুকু খাওয়া যায়? এর
পরিমান পরিবর্তিত হয়।
সোনা পাতা কতটুকু খাওয়া যায়? নিচে তুলে ধরা হলো:
- প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ ৪ গ্রাম সোনা পাতা ১৫০ মিলি পানির সাথে মিশিয়ে দিনে ১-২ বার খেতে পারবেন।
- ৬-১২ বছর শিশুদের ক্ষেত্রে ১.৫-২ গ্রাম সোনা পাতার গুড়া ১৫০ মিলি পানির সাথে মিশিয়ে দিনে ১-২ বার খাওয়ানো যেতে পারে।
- ৬ বছরের নিচের শিশু দের সোনা পাতা খাওয়ানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- গর্ভবতী মহিলাদের সোনা পাতা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সোনার পাতা কতদিন শুকাতে হয়?
সোনার পাতা কতদিন শুকাতে হয়? অনেকেই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন। সোনা পাতা
যেহুতু একটি ভেষজ উপাদান তাই সোনা পাতা ভালো ভাবে শুকাতে হবে। সোনার পাতা কতদিন
শুকাতে হয়? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেই জানেন না। সোনা পাতা কতোদিন শুকাতে হবে এটি
অনেকটা আবহাওয়ার এবং আদ্রতার ওপরেও নির্ভর করে।
বাতাসে আদ্রতা বেশি হলে সোনা পাতা শুকাতে বেশি সময় লাগবে আবার বাতাসে আদ্রতা কম
হলে সোনা পাতা শুকাতে কম সময় লাগবে। সোনা পাতা ভালো ভাবে শুকানোর জন্য এই পাতা
গুলো রোদ ও বাতাস পূর্ণ স্থানে রাখতে হবে। সোনার পাতা অন্তত এক সপ্তাহ থেকে দুই
সপ্তাহ অর্থাৎ ৭-১৫ দিন শুকাতে হয়।
সোনা পাতার কাজ কি?
সোনা পাতার কাজ কি? সোনা পাতার মূল কাজ হচ্ছে পেট পরিস্কার করা। বর্তমানে বেশির
ভাগ মানুষ সোনা পাতা খান শুধু মাত্র হজমের সমস্যা দূর করার জন্য। সোনা পাতা ভেষজ
উপাদান। প্রাচীন কাল থেকেই এটি অনেক আলোচিত একটি প্রাকৃতিক উপাদান। চলুন আর কথা
না বাড়িয়ে সোনা পাতার কাজ কি- জেনে নেই:
- যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের জন্য অনেক উপকারী এই সোনা পাতা। কারণ সোনা পাতা রেচক পদার্থ।
- সোনা পাতা হজম প্রক্রিয়া কার্যকর রাখতে সহায়তা করে কারণ সোনা পাতায় রয়েছে এনথ্রানোয়েড নামক একটি রাসায়নিক পদার্থ।
- যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তারা সোনা পাতা খেতে পারেন কারণ সোনা পাতা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার রোধে সহায়তা করে।
- সোনা পাতা ক্ষুধা ও ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- যাদের রুচি কম তারা সোনা পাতা খেতে পারেন কারণ চলা পাতার রুচি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- সোনা পাতা কৃমি নাশক
- অর্শ রোগ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। সোনা পাতা অর্শ রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক।
- উচ্চ রক্তচাপ আমাদের সহায়তা করে সোনাপাতা
- ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সোনা পাতা সাহায্য করে।
সোনা পাতার গুনাগুন
সোনা পাতা ভেষজ উপাদান। প্রাচীন কাল থেকেই এটি অনেক আলোচিত একটি প্রাকৃতিক
উপাদান। সোনা পাতার গুনাগুন অনেক। মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম সোনা পাতার পাতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন: "তোমরা অবশ্যই
সোনাপাতা ব্যবহার করবে, কেননা এটা মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের শেফাদানকারী মহৌষধ।' –
(আত-তিরমিযী, হাদিস নং ২০৩১)।"
সোনা পাতার গুনাগুন নিম্নরূপ:
- যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের জন্য অনেক উপকারী এই সোনা পাতা। কারণ সোনা পাতা রেচক পদার্থ।
- সোনা পাতা হজম প্রক্রিয়া কার্যকর রাখতে সহায়তা করে কারণ সোনা পাতায় রয়েছে এনথ্রানোয়েড নামক একটি রাসায়নিক পদার্থ।
- যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তারা সোনা পাতা খেতে পারেন কারণ সোনা পাতা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার রোধে সহায়তা করে।
- সোনা পাতা ক্ষুধা ও ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- যাদের রুচি কম তারা সোনা পাতা খেতে পারেন কারণ চলা পাতার রুচি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- সোনা পাতা কৃমি নাশক
- অর্শ রোগ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। সোনা পাতা অর্শ রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক।
- উচ্চ রক্তচাপ আমাদের সহায়তা করে সোনাপাতা
- ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সোনা পাতা সাহায্য করে।
সোনা পাতা খাওয়ার নিয়ম
সোনা পাতা কাঁচা চিবিয়ে খাওয়া কিছুটা মুশকিল। তাই অনেকেই সোনা পাতা খাওয়ার কথা
ভাবেন। কিন্তু তারা সোনা পাতা খাওয়ার নিয়ম জানেন না। সোনা পাতা খাওয়ার জন্য
আগে সোনার পাতার গুড়া তৈরি করতে হবে। সোনা পাতা রোদে শুকিয়ে তারপর পাটায় বেটে
অথবা ব্লেন্ডার ব্লেন্ড করে সোনা পাতা গুড়া তৈরি করা যায়।
আপনি যদি সোনা পাতার খাওয়ার নিয়ম জানতে চান, তাহলে আমার সাথেই থাকুন। কারণ এই
আর্টিকেলে সোনা পাতার খাওয়ার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন সোনা পাতার
খাওয়ার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক:
সোনা পাতার গুড়া তৈরি করার পর এটি কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
সোনা পাতার গুড়ার চা তৈরি করে, সোনা পাতার গুড়ো খাওয়া যায়।
কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলোর সাথে সোনা পাতার গুড়া মিশিয়ে খাওয়া যায়।
সোনা পাতা পাটায় বেটে অথবা ব্লেন্ডার ব্লেন্ড করে সোনা পাতার পেষ্ট তৈরি করে
খাওয়া যায়।
(FAQs) সোনা পাতা সম্পর্কে কিছু সাধারণ প্রশ্ন
১)প্রশ্ন: সোনা পাতা আর সজনে পাতা কি একই?
উত্তর: না , সোনা পাতা আর সজনে পাতা একই নয়।
২)প্রশ্ন: সোনা পাতা অনলাইনে কিনা যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে সোনা পাতার গুড়া বিক্রী
করে।
৩)প্রশ্ন: সোনা পাতায় কোন এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে?
উত্তর: সোনা পাতায় ফ্ল্যাবিনয়েড এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে।
৪)প্রশ্ন: সোনা পাতার বীজ আছে? থাকলে দেখতে কেমন?
উত্তর: হ্যাঁ, সোনা পাতার বীজ আছে। সোনা পাতার বীজ সিমের মতো তবে লম্বা ও
চ্যাপ্টা।
৫)প্রশ্ন: সোনা পাতা বন জঙ্গলে জন্মায়?
উত্তর: হ্যাঁ, সোনা পাতা বন জঙ্গলে জন্মায়।
লেখকের শেষ কথা
আশা রাখছি আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। আজকের
সোনা পাতা খেলে কি হয় বিষয়ক আর্টিকেল
টি আপনার ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের সোনা
পাতা খেলে কি হয়? জানার পথ খুলে দিন। ধন্যবাদ সবাইকে আর্টিকেলটির শেষ পর্যন্ত
থাকার জন্য।
বাহ্, চমৎকার উপস্থাপনা!