ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ - ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার কি কি?

আপনি কি ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ - মার্কেটিং কত প্রকার কি কি? এই বিষয় গুলো সম্পর্কে অবগত? যদি না জানেন তাহলে এই আর্টিকেল পড়ার পর আপনি যার মার্কেটিং এর সকল কিছু জানতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্র অনেক বড়। তাই বর্তমানে অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে ইচ্ছুক।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ - ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার কি কি?

অনলাইন ভিত্তিক মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে পণ্য কেনা-বেচা বা সেবা প্রদান করাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ নির্দিষ্ট নয়। কে কোন ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবে, এটি সম্পূর্ণ তার ক্রিয়েটিভিটির উপর নির্ভর করে।

আপনারা অনেকেই জানতে চান যে ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার কি কি? এর নির্দিষ্ট উত্তর দেওয়ার একটু কঠিন। কারণ ইন্ডিয়ান ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রসারতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার কি কি সে বিষয়ে আলোচনা করা হলো: 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO):
ওয়েবসাইটের rank বৃদ্ধি করতে অর্গানিক উপায় ট্রাফিক বৃদ্ধি করাই হচ্ছে SEO ।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM):
সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে ব্র্যান্ডগুলোর বিজ্ঞাপন প্রচারণা। 
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM):
সোশ্যাল মিডিয়া যেমন facebook, instagram, twitter এগুলো ব্যবহার করে পণ্যের প্রচারণা। 
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: 
অন্যদের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে কমিশন গ্রহণ করা।
Paid advertising (PPC): 
পেইড বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিকের উপর ভিত্তি করে অর্থ উপার্জন। একেই Paid advertising বলে 
মোবাইল মার্কেটিং
মোবাইলের অ্যাপ, নোটিফিকেশন, এসএমএসের মাধ্যমে মার্কেটিং।
কনটেন্ট মার্কেটিং: 
বিভিন্ন কনটেন্ট যেমন: ভিডিও, ব্লগ পোস্ট এসবের মাধ্যমে দর্শকদের আকর্ষণ করা।

আশা করি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কি কি শেখানো হয়?

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্র্যান্ডগুলোর অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং প্রচারণা করে বিক্রয় বাড়ানো হয়। অনেকেই জানেন না যে ডিজিটাল মার্কেটিং কি কি শেখানো হয়? ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ডিজিটাল ডিজিটাল মার্কেটিং করার বিভিন্ন কৌশল ও পদ্ধতি শেখানো হয়। যেমন: 
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব ভবিষ্যত হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং করার বেনিফিট ।
  • ট্রেডিশনাল মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য বুঝানো হয়। 
  • কাস্টমারকে কিভাবে আকর্ষিত করবেন এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আরো অনেক কিছু শিখানো হয়। যেমন: 
  1. SEO সম্পর্কিত কাজ:
    1. কীওয়ার্ড রিসার্চ
    2. গুগল অ্যালগরিদম
    3. অন পেজ, অফ পেজ, টেকনিক্যাল পেজ SEO
  2. SEM সম্পর্কিত কাজ:
    1. CPC, CPM এই গুলো শিখানো হয়।
    2. পেইড এড ক্যাম্পিং পরিচালনা শেখানো হয়।
    3. কনটেন্ট মার্কেটিং শিখানো হয়।
    4. ইমেইল মার্কেটিং শেখানো হয়।
    5. ডাটা এনালিটিক্স সম্পর্কিত কাজগুলো শেখানো হয়।
    6. ই কমার্স মার্কেটিং এর খুঁটিনাটি বিষয়গুলো শেখানো হয়।
    7. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শেখানো হয়। ফ্রিল্যান্সিং এবং ক্লাইন্ট ম্যানেজমেন্ট শেখানো হয়।
উপরোক্ত বিষয়গুলো আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শেখায় এমন প্রতিষ্ঠানের কোর্সগুলো করে খুব সহজে শিখতে পারবেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কি?

অনেকেই একটা বিষয় নিয়ে খুব কনফিউশনে ভোগেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কি? জ্বি অবশ্যই, ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। কারণ ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি ক্ষেত্র। SEO, SMM, কনটেন্ট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, ওয়েব এনালেটিক্স, PPC এগুলো ফ্রিল্যান্সিং এরই অংশ। 

ফ্রিল্যান্সিং করে সফল হতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর একটি কোর্স সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে, ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই অনেক স্কিল অর্জন করতে হবে। SEO, SMM, PPC, কনটেন্ট মার্কেটিং, ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট এই বিষয়গুলোতে আপনাকে পারদর্শী হতে হবে। মূল কথা, আপনার দক্ষতা ও পারদর্শিতা থাকলে আপনি খুব সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা কেমন?

যারা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে নতুন জানছে তাদের মনে একটি প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা কেমন? বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা ব্যাপক। আর এই চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ২০২০ সালের এক গবেষণায় দেখা যায় ডিজিটাল মার্কেটিং-এর মার্কেট ভ্যালু প্রায় ৩৬০-৩৮০ বিলিয়ন ছিলো। যা বর্তমানে ৪.২ ট্রিলিয়ন এরো বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা কেমন। 

এখন সবকিছুই যেহেতু অনলাইন ভিত্তিক তাই প্রচলিত ব্যবসার পরিবর্তে মানুষ ডিজিটাল মার্কেটিং কে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। আবার ডিজিটাল মার্কেটিং এ শুধুমাত্র একটি ক্ষেত্রে আবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা সম্ভব। যে কেউ চাইলেই তার দক্ষতা, পুঁজি এবং পারদর্শিতা কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে সফল হতে পারে।

ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার কেমন?

যারা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করেন অথবা নতুন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখছেন তাদের মনে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার কেমন? এই প্রশ্ন জাগাটা স্বাভাবিক। মার্কেটিং ক্যারিয়ার সম্ভাবনাময়। বর্তমান সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় একটি অংশ অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। যার ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সীমা দিন দিন বেড়েই চলেছে। 

বর্তমান সময়ের সব ব্যবসায়ী চাচ্ছে অনলাইনে তাদের ব্যবসার প্রচার এবং প্রসার। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার অর্থাৎ সেক্টরে চাকরির চাহিদা খুব বেশি। আপনি যদি দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হন তাহলে আপনি উচ্চ অংকের বেতন পাবেন। আবার ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে নিজ ইচ্ছামতো কাজ করার সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এক্ষেত্রে বসের কোন প্যারা থাকবে না।

তবে ডিজিটাল মার্কেটে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নিলে আপনাদের সব সময় যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। টেকনোলজি, সফটওয়্যার এসব সম্পর্কে যাবতীয় সকল নতুন নতুন জ্ঞান আপনাকে অর্জন করতে হবে। আপনি আপনারা সৃজনশীলতা এবং ধৈর্য দিয়ে কাজ করে গেলে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার খুবই সম্ভাবনাময় , এখানে আপনি আপনার দক্ষতার পরিচয় খুব ভালোভাবে দিতে পারবেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা অনেক। ব্যবসা পরিচালনার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা অনেক বিধায় দিন দিন ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রসারতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ, ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা ব্যবসার প্রসারতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা গুলো নিচে তুলে ধরা হলো: 
  1. ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে  ব্যবসার তুলনায় কম খরচে কার্যকর ভাবে ব্যবসার প্রসার প্রচারণা করা সম্ভব হয়। 
  2. ইন্টারনেটের সুফলে কম পরিশ্রমে বিস্তর শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানো যায়।
  3. একটি নির্দিষ্ট শ্রোতা গোষ্ঠীকে টার্গেট করে ব্যবসার প্রচার করা যায় এতে বিজ্ঞাপনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। 
  4. সোশ্যাল মিডিয়া ইমেইল মার্কেটিং ও চ্যাট বটের মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।
  5. ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সহজেই একটি ব্র্যান্ড গঠন করা যায়। একই সাথে ব্যান্ডের পরিচিত ও প্রচারণা বাড়ানো যায়।
  6. ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টায় গ্রাহকদের সেবা প্রদান করা সম্ভব হয়।
  7. ইন্টারনেট এবং আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার পণ্য বিশ্বের যে কোন প্রান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়।
  8. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ইত্যাদি ব্যবহার করে দ্রুত ব্যবসার উন্নতি করা যায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যত

দিন দিন মানুষের ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীলতার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যত উজ্জ্বল। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং দ্রুত পরিবর্তনশীল। ভবিষ্যতে যারা উদ্ভাবনশীল কৌশল অবলম্বন করবে তারাই এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে। 

ভবিষ্যতে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন এআই চ্যাট বোট আপনার কাজকে আরো সহজ করে তুলবে। AI মানুষের চাহিদা কি টার্গেট করে আরো একটি করে বিজ্ঞাপন তৈরিতে সক্ষম হবে। 

ভবিষ্যতে মেটাভার্স ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ডিজিটাল মার্কেটিং এ নতুন মাত্রা যোগ করবে। বিভিন্ন ইন্টারঅ্যাক্টিভ অভিজ্ঞতা গ্রাহকদের আরো আকৃষ্ট করবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে অনেক দক্ষ হতে হবে। 

ভবিষ্যতে অটোমেশন এবং মেশিন লার্নিং যুক্ত হবে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে। অডিয়েন্স সেগমেন্টেশন, প্রচার-প্রচারণা, রিপোর্ট তৈরি, হিসাব নিকাশ আরো সহজ হয়ে যাবে। কনটেন্ট আরো উন্নত ও এস ই ও ফ্রেন্ডলি হয়ে যাবে।

FAQs

১) প্রশ্ন: ডিজিটাল মার্কেটিং নাকি ট্রেডিশনাল মার্কেটিং কোনটি বেশি ভালো?
উত্তর: অবশ্যই, ডিজিটাল মার্কেটিং বেশি ভালো। 

২) প্রশ্ন: ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল উপাদান কোনগুলো? 
উত্তর: ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল উপাদান গুলো হলো: SEO, SMM, SME, ইমেইল মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং।

৩) প্রশ্ন: ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব? 
উত্তর: আপনি ডিনার মার্কেটিং শেখার জন্য জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কোর্স করতে পারেন, অনলাইন ব্লগ পোস্ট পড়তে পারেন, বিভিন্ন ফ্রি টুল ব্যবহার করতে পারেন। 

৪) প্রশ্ন: SEO কেনো দরকার?
উত্তর: ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে এবং গ্রাহকদের কাছে দ্রুত বিজ্ঞাপন পৌঁছানোর জন্য SEO দরকার। 

৫) প্রশ্ন: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কিভাবে করবো?
উত্তর: বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যেমন: facebook, instagram, tiktok এসব ব্যবহার করে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারবেন।

লেখকের শেষ কথা

আশা করি আপনি এতক্ষণে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয় সম্পর্কে জেনে ফেলেছেন। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সকলের উচিত এই বিষয়ে ন্যূনতম জ্ঞান অর্জন করা। তাই আজকের আর্টিকেলটি ছিল ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে। আশা রাখছি আপনি মার্কেটিং কত প্রকার কি কি? জেনে লাভবান হয়েছেন। 

তাই, আপনি কেনো অন্যদের থেকে পিছিয়ে থাকবেন। আজ থেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স শুরু করুন এবং অন্যদের মতো অনলাইনে উপার্জন শুরু করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিডপয়েন্ট ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url